রুট ক্যানেল করার পর করনীয় – দাঁতের রুট ক্যানেল কি ভাবে করা হয়

আমাদের শরিরের অন্যতম একটি পার্ট হলো দাঁত। দাঁতের সঠিক পরিচর্যা না করার কারণে অল্প বয়সে দাঁত পোকায় খেয়ে ফেলে, অথবা দাঁতের ক্যানেলগুলা নষ্ট হয়ে যায়। এর ফলে আমাদের খাবারের স্বাদ গ্রহণ করতে অনেকটাই বাধা প্রদান করে থাকে। তাই আজ আমরা দাঁতের সঠিক পরিচর্যা এবং দাঁতের রুট ক্যানেল কিভাবে করতে হয় এই সম্পর্কে বিস্তারিত জানবো ইনশাআল্লাহ।

 

আমাদের সমাজে প্রায় বেশিরভাগ মানুষই দাঁতের সঠিক পরিচর্যা করতে পারে না। নানান ধরনের খাবার গ্রহণের ফলে দাঁত নষ্ট হয়ে যায় এই বিষয়েও তেমন কোন জ্ঞান রাখেনা। যেমন পান, সুপারি, জর্দা, গুল ঠান্ডা জল , বরফ এবং দাঁত নিয়মিত পরিষ্কার না করার কারণে দাঁত নষ্ট হয়ে যেতে পারে। কিন্তু এ ব্যাপারে আমরা সঠিক চিকিৎসা এবং দাঁতের যত্ন সম্পর্কে জানিনা বললেই চলে। তবে আজ আমরা জানবো দাঁতের রুট ক্যানেল কিভাবে করে , রুট ক্যানেল করার , নিয়ম রুট ক্যানেল কেন করা হয় এবং খরচ কত এর বিস্তারিত। তাহলে চলুন দেরি না করে মূল আলোচনায় চলে যায়।

দাঁতের রুট ক্যানেল কিভাবে করা হয়

দাঁতের রুট ক্যানেল কিভাবে করা হয় ? যাদের রুট ক্যানেল করার প্রয়োজন হয় সাধারণত তারা এই প্রশ্নগুলো করে থাকে। আমাদের দাঁতে বিভিন্ন ধরনের সমস্যা হতে পারে। সাধারণত এই সমস্যা গুলোর একটি সমাধানের নাম হল রুট ক্যানেল। কারো ক্ষেত্রে সমস্যাগুলো বেশি হতে পারে আবার কারো ক্ষেত্রে দাঁতের কোন সমস্যা হয় না।

সাধারণত অনেক সময় দেখা যায় আমাদের দাঁতের উপরের অংশে বিভিন্ন ধরনের ছোট দাগ পড়ে গিয়েছে এবং সময়ের সাথে সাথে এই দাগ বড় হতে থাকে। তখন আমাদের দাঁত ক্ষয় হওয়ার পরিমাণ ধীরে ধীরে বাড়তে থাকে। আর এই সময়। আমাদের দাঁতে প্রচণ্ড পরিমাণে ব্যাথা অনুভূত হয়। অনেকের ক্ষেত্রেই এতটাই ব্যথা করে যে সহ্য করার মতো থাকে না।

আমাদের দাঁতের ভেতরে একটি লাল অংশ থাকে যার ভেতর দিয়ে রক্ত প্রবাহিত হয়। যখন আমাদের দাঁতে ছোট কালো অংশগুলো হয়ে থাকে সাধারণত তখন এটিকে তুলে ফেলে দেওয়া উচিত। যদি তুলে ফেলা না হয় তাহলে তাতে প্রচন্দ্র পরিমাণে বাথ। হয় এবং আস্তে আস্তে ভেতরের দিকে চলে যায়। পরবর্তীতে রুট ক্যানেল করার প্রয়োজন পড়ে।

আরো পড়ুনঃ জলাতঙ্ক রোগ কি ? জলাতঙ্ক রোগের লক্ষণ প্রতিকার এবং চিকিৎসা

রুট ক্যানেল করা না হলে সবগুলো দাঁত নষ্ট হয়ে যেতে পারে এবং প্রচন্ড পরিমাণে ব্যথা করতে পারে। যদি কোন কারণে দাঁতের ভেতরে থাকা মজ্জা ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে যায় তখন আমাদের দাঁতের রুট ক্যানেল করতে হয়। সাধারণত এই সময় প্রচুর। পরিমাণে দাঁতের ব্যথা হয় সাধারণত তাই দাঁতের এই ব্যথা কমানোর পদ্ধতি কে চিকিৎসা বিজ্ঞানে বলা হয় রুট ক্যানেল।

দাঁতের রুট ক্যানেল করার নিয়ম

দাঁতের রুট ক্যানেল কিভাবে করা হয়? আমরা ইতিমধ্যেই এই বিষয় গুলো সম্পর্কে জেনেছি। দাঁত হচ্ছে আমাদের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি উপাদান। যদি দাঁতের কোন সমস্যা হয় তাহলে আমরা সহ্য করতে পারি না। আর অনেক সময় দেখা যায় বিভিন্ন কারণে আমাদের দাঁতের বিভিন্ন ধরনের সমস্যা হতে পারে। যে কারণে প্রচুর পরিমাণে ব্যথা হতে পারে।

তাদের এক একটা সমস্যার জন্য এক এক রকম চিকিৎসা করা হয়। যখন আমাদের কোন দাঁত অতিরিক্ত পরিমাণে ব্যথা করে এবং বিভিন্ন ধরনের দাগ দেখা যায় তখন ওই দাঁত থেকে রুট ক্যানেল করা হয়। রুট ক্যানেল খুবই সাধারণ একটি চিকিৎসা। তবে অনেকে আছে যারা এই নামটি শুনলে ভয় পেয়ে যাই। কারণ অনেকেই মনে করে থাকে এটি খুব বেদনাদায়ক পদ্ধতি।

আপনাদের জানার সুবিধার্থে বলে রাখি যে এটি খুবই সাধারণ একটি চিকিৎসা। বেদনা দেওয়ার মতো তেমন কোন কিছু করা হয় না। আপনি যদি এই চিকিৎসা গ্রহণ না করেন তাহলে দাঁতের ব্যথা সহ্য করতে পারবেন না। যখন আমাদের দাঁতের মধ্যে কোন গহব্বর তৈরি হয় এবং এর মধ্যে বিভিন্ন ধরনের সমসয় হয় তখন ওই তাতে রুট ক্যানেল করা হয়ে থাকে।

আরো পড়ুনঃ রূপচর্চায় মধুর গুনাগুণ সম্পর্কে জানুন পাশাপাশি নিমের ব্যবহার যেভাবে করবেন 

যে দাঁতের সমস্যা হয় সাধারণত ওই তাপটি ভালোভাবে পরিষ্কার করা হয় তারপর সেটিকে আবার ভরাট করে দেওয়া হয়। যদি আপনি ভালো চিকিৎসকের কাছে রুট ক্যানেল করেন তাহলে ভালোভাবে ভরাট করে যেটি আর কখনো নষ্ট হয় না। আর যদি স্থায়ী ভাবে ভরাট করা না হয় তাহলে কিছু দিন পর আবার এ সমস্যা হতে পারে।

দাঁতের রুট ক্যানেল কেন করা হয়

দাঁতের রুট ক্যানেল কেন করা হয়? উপরের আলোচনায় আমরা বিস্তারিত ভাবে বলেছি। আমাদের দাঁতের বিভিন্ন ধরনের সমস্যা হয়। যদিও সবার সমস্যা এক রকম থাকে না। তবে আমাদের দাঁতের যদি কোন সমস্যা হয় তাহলে দাঁতে প্রচন্ড পরিমাণে ব্যথা হয় এবং অনেকেই আছে যারা এ ব্যথা সহ্য করতে পারে না যার ফলে দাঁত তুলে ফেলে। আসলে এরকম করা উচিত নয়।

যদি আপনার দাঁতে কোন ধরনের সমস্যা হয় তাহলে অবশ্যই আপনাকে একজন ভালো চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। কারণ আপনি যদি সঠিক চিকিৎসা না গ্রহণ করেন তাহলে কখনোই এই সমস্যা থেকে মুক্তি পাবেন না। অনেক সময় বিভিন্ন কারণে আমাদের দাঁত ভেতর থেকে খালি হয়ে যায়। যার ফলে দাঁতের ভেতরে প্রচন্ড পরিমাণে ব্যথা করে এবং এ ব্যথা সহ্য করার মতো না।

এই বাথা কমানোর জন্য এবং দাঁতের এই গব্বরকে একেবারে মিটিয়ে দেওয়ার জন্য রুট ক্যানেল করা হয়ে থাকে। যদি দাঁতের এই গর্তকে পূর্ণ করা না হয় তাহলে এখান থেকে আরও বড় ধরনের সমস্যা। হতে পারে। এমনকি একটি দাঁত থেকে অনেক গুলো দাঁত নষ্ট হয়ে যেতে পারে তাই একজন ভালো চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে দ্রুত এই সমস্যা সমাধান করে নেয়া উচিত।

দাঁতের রুট ক্যানেল খরচ কত

দাঁতের রুট ক্যানেল খরচ কত? এই বিষয়টিও ভালোভাবে জেনে নিতে হবে। কারণ অনেক সময় আমাদের এই বিষয় গুলো না জেনে থাকার কারণে কিছু অসাধু ডাক্তার রয়েছে যারা আমাদের কাছ থেকে বেশি টাকা নিয়ে নেই। যদি আপনার এই বিষয়ে একটা ধারণা থাকে তাহলে আপনি খুব সহজেই প্রতারিত না হয়ে ভালো চিকিৎসা গ্রহণ করতে পারবেন।

আরো পড়ুনঃ গর্ভাবস্থায় একজন মায়ের করনীয় ও যত্ন 

বর্তমান সময়ে দেশের প্রতিটি জায়গাতেই দাঁতের চেম্বার দেখা যায়। প্রতিটি ডাক্তারের খরচ এক রকম হয় না একেক জন একেক রকম টাকা নিয়ে থাকে। যদি আপনি চান আপনার ব্যথ্য একেবারেই মত চলে যাক তাহলে আপনাকে অবশ্যই একজন ভালো চিকিৎসকের সন্ধান করতে হবে। না হলে পরবর্তীতে আবার রুট ক্যানেল নষ্ট হয়ে গিয়ে ব্যথা শুরু হয়ে যাবে।

তবে রুট ক্যানেল করতে একজন ডাক্তার কমপক্ষে ২০০০ থেকে ৩০০০ টাকা পর্যন্ত নিয়ে থাকে। আবার যে সকল ডাক্তার একটু ভালো মানের চিকিৎসা দেয় এবং নাম রয়েছে সাধারণত তারা একটু বেশি পারিশ্রমিক নিয়ে থাকে। রুট ক্যানেল করার পরে যদি আপনি আবার ওই দাঁতের উপরে ক্যাপ প্রতিস্থাপন করেন তাহলে খরচ আরো কিছুটা বেড়ে যাবে।

রুট ক্যানেল কতদিন স্থায়ী থাকে

রুট ক্যানেল কতদিন স্থায়ী থাকে? আমরা অনেকেই এই বিষয়টি জানিনা। অনেকেই বলে থাকে যে কট ক্যানেল করতে খরচ অনেক বেশি হয় এবং এটি স্থায়ী থাকে না। তবে এই ধারণা সম্পূর্ণ ভুল। রুট ক্যানেল করতে খরচ তেমন বেশি হয় না তবে আপনি যদি ভালো মানের রুট ক্যানেল করতে চান তাহলে আপনাকে সর্বনিম্ন তিন থেকে চার হাজার টাকা খরচ করতে হবে।

আর আপনি যদি স্থায়ী ভাবে রুট ক্যানেল করতে চান যে ভবিষ্যতে যাই হয়ে যাক যেন আর কখনো উঠে না যায় তাহলে আরো বেশি টাকা খরচ করতে হবে। কারণ রুট ক্যানেল করার পরে আপনার দাঁতের উপর একটি ক্যাপ পরিয়ে দেওয়া হবে। সেটি হুবহু আসল দাঁতের মতোই হবে। যদি এটি করতে চান তাহলে আপনার খরচ বেড়ে যাবে এই বিষয়টি খেয়াল রাখবেন।

দাঁতের রুট ক্যানেল এর ক্ষতিকর দিক

দাঁতের রুট ক্যানেল কিভাবে করা হয়? রুট ক্যানেল করার আগে অবশ্যই বিষয়টি সম্পর্কে জেনে নেবেন। সাধারণত আমরা অনেকে ভুগে থাকি যখন শক্ত কোন কিছু চিবাতে যাই তখন প্রচন্ড পরিমাণে ব্যথা অনুভূত হয়। অনেক সময় হাড়ের ওপরে। অথবা শক্ত কোন কিছুর উপরে কামড় দিলে দাঁত ভেঙে যাওয়ার মত সম্ভাবনা থাকে।

আরো পড়ুনঃ ব্রণ থেকে দ্রুত মুক্তির উপায়। কোন খাবার খেলে ব্রণ হবার সম্ভাবনা কম থাকে 

রুট ক্যানেল করার তেমন কোন ক্ষতিকর দিক নেই তবে আপনি যদি ভালো চিকিৎসকের কাছে এই চিকিৎসা গ্রহণ না করেন তাহলে অনেক সময় আপনার দাঁতের সমস্যা হতে পারে। আমাদের আশেপাশে অনেক জিজ্ঞাসা রয়েছে যারা কোন রকম ডিগ্রী ছাড়াই একটি চেম্বার দিয়ে বসে গিয়েছে। সাধারণত আমরা কম টাকার চিন্তায় অনেক সময় এই চিকিৎসকের কাছে। চিকিৎসা নেই।

যদি এমনটা করে থাকি তাহলে তারা সঠিকভাবে দাঁতের রুট ক্যানেল করতে পারেন। যার ফলে বিভিন্ন ধরনের সমস্যা দেখা দেই। এমনকি আমাদের দাঁতের সমস্যা হয়ে থাকে। যদি আপনি এই ধরনের সমস্যায় পড়তেন না চান এবং সঠিকভাবে রুট। ক্যানেল করতে চান তাহলে আপনাকে অবশ্যই একজন ভালো চিকিৎসকের কাছে গিয়ে সকল বিষয়ে পরামর্শ করে তারপরে চিকিৎসা নিতে হবে।

রুট ক্যানেল করার পরে করণীয়

রুট ক্যানেল করার পরে করণীয় অবশ্যই মেনে চলতে হবে। সাধারণত বেশিরভাগ মানুষের ক্ষেত্রে দেখা যায় তারা করণীয় গুলো মেনে চলেনা যার ফলে তাদের আবার রুট ক্যানেল করার প্রয়োজন হয় অথবা দাঁতের সমস্যা দেখা দেয়। আপনি যদি তাদের এই সমস্যাগুলো একেবারে সমাধান করতে চান তাহলে আপনাকে অবশ্যই রুট ক্যানেল করার পরে বেশ কিছু করণীয় রয়েছে যেগুলো মেনে চলতে হবে।

  • রুট ক্যানেল করার পরে অবশ্যই সব সময় মুখ পরিষ্কার রাখতে হবে এবং নিয়মিত সকালে এবং রাত্রে ব্রাশ করতে হবে।
  •  রুট ক্যানেল করার পরে অবশ্যই শক্ত কোন কিছু খাওয়া যাবে না।
  •  শক্ত খাবার বলতে মাংসের হাড্ডি অথবা অন্য কোন শক্ত জাতীয় খাবার একেবারেই ত্যাগ করতে হবে।
  • রুট ক্যানেল করার পরে আমাদের অবশ্যই অতিরিক্ত পরিমাণে মিষ্টি এবং কার্বোহাইড্রেট জাতীয় খাবার খাওয়া যাবে না।
  • রুট ক্যানেল করার পরে ধূমপান এবং পান জাতীয় খাবার খাওয়া থেকে একেবারেই বিরত থাকতে হবে। এগুলো খাওয়ার ফলে দাঁতের আরো সমস্যা হয়।

রুট ক্যানেল করার পর ব্যথা

রুট ক্যানেল করার পর ব্যথা হয়ে থাকে অনেকের ক্ষেত্রেই। যদি আপনার দাঁতের সমস্যা হয়ে থাকে এবং আপনি রুট ক্যানেল করতে চান তাহলে অবশ্যই দাঁতের রুট ক্যানেল কিভাবে করা হয়? এই বিষয়টি ভালো ভাবে জেনে তারপরে করে নেবেন। যখন আমাদের দাঁতের ভেতরকার নরম টিস্যুগুলো ব্যাকটেরিয়া দ্বারা সংক্রমিত হয় তখন রুট ক্যানেল করতে হয়।

আরো পড়ুনঃ রুট ক্যানেল করতে কেমন ব্যাথা লাগে বিস্তারিত জানুন

কারণ এই ব্যাকটেরিয়া গুলো আমাদের দাঁতের ভেতরকার শক্ত উপাদান গুলো নষ্ট করে দেয়। রুট ক্যানেল করার মাধ্যমে সংক্রমিত অংশগুলোকে অপসারণ করা হয় এবং নতুন করে আবার আকৃতি তৈরি করা হয়। আর এমন কিছু মেডিসিন দেওয়া হয় যেগুলো ব্যাকটেরিয়া গুলোকে ধ্বংস করে এবং সংক্রমণ হাত থেকে রক্ষা করে।

যখন চিকিৎস্য শুরু করা হয় সাধারণত তখন দাঁত এবং তার আশেপাশের জায়গাটি একেবারে অবাস করে দেওয়া হয়। রুট ক্যানেল করার সময় আমাদের দাঁতে কিছুটা। ব্যথা হতে পারে সাধারণত এর বেশ কিছু কারণ রয়েছে। যা আমরা ইতিমধ্যেই। আলোচনা করেছি যে দাঁতের ভেতরে জীবাণু সংক্রমণ এর কারণে দাঁতে প্রচন্ড পরিমাণে ব্যথা অনুভূত হয়।

কখনো কখনো রুট ক্যানেল করার পরে আবার সংক্রমণ হতে পারে। যদি চিকিৎসা পদ্ধতি ভালো না হয় এবং চিকিৎসক ভালো না হয় তখন দেখা যায় যে রুট ক্যানেল করার পরে বিভিন্ন রকম ভাবে ব্যাকটেরিয়া গুল্যে আবার দাঁতের সংক্রমণ করেছে। সাধারণত এর ফলে অনেক সময় আমাদের দাঁতে পুনরায় ব্যথা অনুভূত হয়। যার ফলে আবার চিকিৎসা করতে হয়।

রুট ক্যানেল করার পর কি খাওয়া যায়

রুট ক্যানেল করার পর কি খাওয়া যায়? এই বিষয়টি সম্পর্কেও আমাদের ভালোভাবে জেনে নিতে হবে। রুট ক্যানেল করার পরে বেশ কিছু খাবার রয়েছে যেগুলো খাওয়া একেবারেই উচিত নয়। আবার কিছু খাবার রয়েছে যেগুলো খেলে তাড়াতাড়ি। সুস্থ হওয়া যায়। তাই প্রথমে আমরা জানবো কোন খাবারগুলো রুট ক্যানেল করার পরে খাওয়া যায়।

রুট ক্যানেল চিকিৎসা করার পরে অবশ্যই রোগীকে ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে। কোন খাবারগুলো খেতে পারবেন এই সম্পর্কে। সাধারণত ডাক্তার বেশ কিছু খাবার খেতে বলে এবং বেশ কিছু খাবার রয়েছে যেগুলো খেতে নিষেধ করে। যেমন ডাক্তাররা বলে যে সবসময় মুখ পরিষ্কার রাখতে যেন দাঁতের ভেতরে ঢুকে যায় এরকম খাবার খেতে নিষেধ করে।

আবার আমরা নিয়মিত যে সকল খাবার খায় এগুলোর মধ্যে বেশ কিছু শক্ত খাবার রয়েছে। শক্ত খাবার গুলো খাওয়ার ফলে আমাদের রুট ক্যানেল ভেঙ্গে যেতে পারে যার ফলে আবার এ সমস্যা গুলো দেখা দেয়। খুব বেশি মিষ্টি পরিমাণে খাবার খাওয়া যাবেনা এবং কার্বোহাইড্রেট জাতীয় খাবার খাওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে। অবশ্যই ধূমপান ত্যাগ করতে হবে এবং পান খাওয়া বর্জন করতে হবে।

শেষ কথা 

প্রিয় বন্ধুগণ আজ আমরা এই আর্টিকেল থেকে রুট ক্যানেল করা সম্পর্ক নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেছি। যারা দাঁতের যত্ন এবং সম্পর্কে জানেন না এই পোস্টটি পড়ে অবশ্যই তাদের উপকার হয়েছে। আমাদের শরীরের অন্যতম একটি পার্ট হল দাঁত এই দাত না থাকলে সুন্দর্য নষ্ট হয়ে যায় এবং বৃদ্ধ না হতেই বৃদ্ধের ছাপ পড়ে যায় সুতরাং আমাদের দাঁতের যত্নের প্রতি খেয়াল রাখা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়।
এই আর্টিকেলটি পড়ে যদি আপনাদের ভালো লেগে থাকে তবে অবশ্যই আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন এবং আমাদের পেজটি নিয়মিত ভিজিট করুন। আমরা এমন তথ্যমূলক পোস্ট এই পেজে নিয়মিত প্রকাশ করে থাকি। এতক্ষণ আমাদের সাথে থাকার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।

 

Leave a Comment