কিভাবে মোটা হওয়া যায়- কি খেলে মোটা হওয়া যায়
অনেকেই মোটা হওয়ার জন্য বিভিন্ন ধরনের অস্থায়ী ও অবৈজ্ঞানিক পন্থা অবলম্বন করে থাকেন। যার ফলে শারীরিক ও মানসিকভাবে স্থায়ী ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে যান। যতদিন ঔষধ সেবন করেন ততদিন শরীর ফেঁপে থাকে ফলে মনে হয় যে শরীর। মোটা হয়ে গেছে। যখন সেই ঔষধ এর প্রভাব শরীর থেকে দূরীভূত হয়ে যায় তখন আবার সাবেক অবস্থায় শরীর ফিরে আসে।
আরো পড়ুনঃ পিরিয়োডের সময় কি ব্যবহার করা উচিত
এই ধরানের পদ্ধতি ব্যবহার করা শরীরের জন্য মারাত্মক ক্ষতির কারণ। বিশেষ করে এ ধরনের পাম জাতীয় ওষুধ গ্রহণ করলে কিডনি ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। কিভাবে মোটা হওয়া যায় বা কি খেলে মোটা হওয়া যায় সে সম্পর্কে আলোচনা করা হবে। এখানে স্থায়ীভাবে মোটা হওয়ার যে সকল পদ্ধতি বা স্থায়ী ভাবে মোটা হওয়ার ঔষধ উল্লেখ। হবে সেগুলো মোটেও আপনার স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর নয়। চলুন দেখে নেয়া যাক কিভাবে মোটা হওয়া যায় বা কি খেলে মোটা হওয়া যায়।
ইসলামে মোটা হওয়ার উপায় কোন ফল খেলে মানুষ মোটা হয়
ইসলামে মোটা হওয়ার উপায় কি? বা কোন ফল খেলে মানুষ মোটা হয়? এ ধরনের প্রশ্ন যদি আপনার মনে উঁকি মারে তাহলে আপনি সঠিক জায়গাতেই এসেছেন। এখানে ইসলামে মোটা হওয়ার উপায় কি? বা কোন ফল খেলে মানুষ মোটা হয়? সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হবে। কিভাবে মোটা হওয়া যায় বা কি খেলে মোটা হওয়া যায় সে সম্পর্কে নিচে বিস্তারিত আলোচনা তুলে ধরা হলো।
কোন ফল খেলে মানুষ মোটা হয়? এই প্রশ্নের উত্তরে ইসলামে মোটা হওয়ার উপায় সম্পর্কে হাদিস রয়েছে। হাদিসে বলা হয়েছে খেজুরের সাথে শসা খেলে মানুষ স্বাস্থবান হতে পারবে। নিচে ইসলামে মোটা হওয়ার উপায় বা কোন ফল খেলে মানুষ মোটা হয় এ সম্পর্কিত হাদিস গুলো উল্লেখ করা হলোঃ
(১) ‘আয়িশাহ (রাঃ) বর্ণনা করেছেন তিনি বলেন, আমার মায়ের ইচ্ছা ছিল যে আমাকে স্বাস্থ্যবতী বানিয়ে রাসূলুল্লাহ (সাঃ)-এর
নিকট পাঠাবেন। তার জন্য তিনি অনেক চেষ্টা করেন, কিন্তু কোন চেষ্টাই ফলপ্রসূ হয়নি। অবশেষে তিনি আমাকে পাকা খেজুরের সাথে শসা বা খিরা খাওয়াতে থাকলে আমি তাতে সুস্বাস্থ্যের অধিকারী হই। (সুনানে আবু দাউদ, হাদিস নং ৩৯০৩ হাদিসের মান: সহিহ)
(২) আয়িশাহ (রাঃ) বর্ণনা করেছেন আমার মা আমাকে রাসূলুল্লাহ (সাঃ) এর সংসারে পাঠাতে চাচ্ছিলেন তাই আমার দৈহিক পরিপুষ্টির জন্য চিকিৎসা করাতেন। কিন্তু কোন চিকিৎসা আমার কোন উপকারে আসলো না। অবশেষে আমি তাজা খেজুরের সাথে শসা মিশিয়ে খেলাম এবং উত্তমরূপে দৈহিক পরিপুস্টি লাভ করলাম। (আবু দাউদ, হাদিস নংঃ৩৩২৪)
আরো পড়ুনঃ কপালের ছোট ছোট ব্রণ দূর করার উপায়
উপরোল্লিখিত যে ফল দুটির কথা উল্লেখ করা হয়েছে সেগুলো ভক্ষণ করলে আশা করা যায় আপনি প্রাকৃতিক উপায়ে স্থায়ীভাবে স্বাস্থ্যবান হতে পারবেন। এই হলো মোটামুটি ইসলামে মোটা হওয়ার উপায় বা কোন ফল খেলে মানুষ মোটা হয় সংক্রান্ত প্রশ্ন গুলোর উত্তর। কিভাবে মোটা হওয়া যায় বা কি খেলে মোটা হওয়া যায়? সে প্রশ্নের উত্তর এখানে দেওয়া হলো।
কোন ঔষধ খেলে মোটা হওয়া যায় – স্থায়ী ভাবে মোটা হওয়ার ঔষধ
কি ঔষধ খেলে মোটা হওয়া যায় বা স্থায়ী ভাবে মোটা হওয়ার ঔষধ কি তা জানানোর পূর্বে, গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয় বলতে চাই আর সেটি হল ঔষধ খেয়ে মোটা হওয়া স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতির কারণ হতে পারে। তাই ঔষধ খেয়ে মোটা হওয়ার চিন্তা মাথা থেকে দূর করাই ভালো। স্থায়ীভাবে মোটা হওয়ার জন্য নিয়মিত স্বাস্থ্যকর খাদ্য গ্রহণ করতে পারেন।
আপনি যদি জানতেই চান কি ঔষধ খেলে মোটা হওয়া যায় বা স্থায়ী ভাবে মোটা হওয়ার ঔষধ তাহলে আপনার জন্য নিচে কয়েকটি ঔষধ এর নাম উল্লেখ করা হলো। যে ঔষধ গুলো সচরাচর মোটা হওয়ার ঔষধ হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে থাকে। চলুন দেখে নেয়া যাক কথিত স্থায়ী ভাবে মোটা হওয়ার ঔষধ বা কি ঔষধ খেলে মোটা হওয়া যায়। কিভাবে মোটা হওয়া যায় বা কি খেলে মোটা হওয়া যায়? সে প্রশ্নের উত্তর হিসেবেই এই ঔষধগুলোর নাম বর্ণনা করা হচ্ছে।
ডেকডান (Decdan): চিকন স্বাস্থ্য মোটা করতে অনেকেই এই ট্যাবলেটটি ব্যবহার করে থাকেন। তবে দীর্ঘদিন সেবন করলে কিছু কিছু পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা যেতে পারে। যেমনঃ পেট খারাপ করা, গাঁটে ও হাটুতে ব্যথা দৃষ্টিশক্তি কমে যেতে পারে। তাই এই ধরনের স্টেরইড ঔষধ থেকে দূরে থাকা স্বাস্থ্যের জন্য ভালো।
ডেক্সোনা (dexona): এই ঔষধটি মূলত এলার্জি হাঁপানি ও ক্যান্সার রোগে ব্যবহৃত একটি ঔষধ। অনেকেই স্বাস্থ্য মোটা করার জন্য ইচ্ছেমতে। এই ঔষধ দোকান থেকে কিনে সেবন করেন। এই ঔষধটি দীর্ঘদিন ব্যবহার করলে কিডনি ড্যামেজ হওয়া সহ লিভার ফাংশন দুর্বল হয়ে যেতে পারে। তাই এই ঔষধটি ভক্ষণ করার পূর্বে অবশ্যই চিন্তাভাবনা করবেন।
সিপ্লাষ্টিন (Ciplactin): এই ঔষধটি বলতো বিভিন্ন ধরনের এলার্জি রোগের ব্যবহার করা হয়। ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া দীর্ঘদিন এই ওষুধটি সেবন করলে ব্লাড প্রেসার কমে যেতে পারে এবং ভূমির পরিমান অত্যাধিক যেতে পারে। তাই যে কোন ওষুধ সেবনের পূর্বে ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করা উচিত।
আরো পড়ুনঃ যে সকল রোগের ঝুঁকি কমাবে অলিভ অয়েল
প্রাপ্তিী (Practin): স্থায়ী ভাবে মোটা হওয়ার ঔষধ হিসেবে এই ঔষধটি অনেকেই সমান করে থাকেন। মূলত এই ঔষধটি স্থায়ী ভাবে মোটা হওয়ার ঔষধ নয়। বরঞ্চ ডাক্তারের পরামর্শ ব্যতীত এই ঔষধটি সেবন করলে বিভিন্ন পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া দেখা যেতে পারে। যেমন হাত পা ঝিনঝিন করা, মাথা ঘোরা বমি বমি ভাব সহ আরো বিভিন্ন উপসর্গ দেখা যেতে। পারে।
বেটনেসোল (Betnesol): এই ঔষধটি মূলত চোখের এলার্জি সহ অন্যান্য এলার্জির চিকিৎসার জন্য ব্যবহৃত হয়ে থাকে। কিন্তু অনেকেই ঔষধ থেকে মোটা হওয়ার ঔষধ হিসেবে সেবন করে থাকেন। এ ওষুধটি দীর্ঘদিন সেবন করলে ব্রণ, চুলকান সহ নার্ভাসনেস উপসর্গ দেখা যেতে পারে।
কি ঔষধ খেলে মোটা হওয়া যায় বা স্থায়ী ভাবে মোটা হওয়ার ঔষধ সংক্রান্ত প্রশ্নগুলোর উত্তর আশা করি আপনি পেয়েছেন।
সাত দিনে মোটা হওয়ার উপায়
যারা শীর্ণ স্বাস্থ্যের অধিকারী তাদের মনের প্রায়শই এরকম প্রশ্ন জাগে রোগা থেকে মোটা হওয়ার উপায় কি ? বা সাত দিনে মোটা হওয়ার উপায় কি? এরকম প্রশ্ন যারা করে থাকেন তাদের জ্ঞাতার্থে জানাচ্ছি যে, সাত দিনে মোটা হওয়ার উপায় বা দ্রুত রোগা থেকে মোটা হওয়ার উপায় অবলম্বন করলে, আপনার শীর্ণ স্বাস্থ্যের বডিটিকেও হারিয়ে ফেলতে পারেন।
কেননা সাত দিনে মোটা হওয়ার উপায় বা দ্রুত রোগা থেকে মোটা হওয়ার উপায় অবলম্বন করলে আপনাকে এমন কিছু ঔষধ ভক্ষণ করতে হবে যা স্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক হুমকির কারণ হতে পারে। কিভাবে মোটা হওয়া যায় বা কি খেলে মোটা হওয়া যায়? সে প্রশ্নের উত্তর এই আর্টিকেলটি ভালোভাবে পড়লে পেয়ে যাবেন।
আরো পড়ুনঃ রূপচর্চায় নারিকেল তেলের ব্যবহার
তাই সাত দিনে মোটা হওয়ার উপায় বা দ্রুত রোগা থেকে মোটা হওয়ার উপায় না খুঁজে, বরঞ্চ আপনি স্থায়ীভাবে স্বাস্থ্যবান হওয়ার জন্য মোটা হওয়ার খাবার রুটিন অনুযায়ী খাদ্য গ্রহণ করতে পারেন। এবং মোটা হওয়ার জন্য ব্যায়াম করতে পারেন।
এতে করে আপনি প্রাকৃতিক উপায়ে স্থায়ী ভাবে স্বাস্থ্যবান হতে পারবেন। সাত দিনে মোটা হওয়ার উপায় বা দ্রুত রোগ্য থেকে মোটা হওয়ার উপায় যদি আপনাকে কোন হাতুড়ে ডাক্তার দিয়ে থাকে তাহলে আপনি, এখন ঐ সেই ঔষধ সেবন করা বন্ধ করুন।
কি খেলে স্বাস্থ্য বাড়ে- মোটা হওয়ার খাবার রুটিন
কি খেলে স্বাস্থ্য বাড়ে বা মোটা হওয়ার খাবার রুটিন সম্পর্কে নিচে বিস্তারিত আলোচনা করা হবে। আশা করি নিচে উল্লেখিত খাদ্যগুলো নিয়মিত ভক্ষণ করলে আপনি সহজেই আপনার আশা পূরণ করতে সক্ষম হবেন। তো চলুন দেখে নেই কি খেলে স্বাস্থ্য বাড়ে বা মোটা হওয়ার খাবার রুটিন। কিভাবে মোটা হওয়া যায় সে সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তরগুলো জানতে পারো আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়তে হবে।
ড্রাই ফ্রুটসঃ মোটা হওয়ার জন্য অধিক পরিমান ক্যালরি যুক্ত খাবার খাওয়া প্রয়োজন। ড্রাই ফ্রুটসে প্রচুর পরিমাণে ক্যালোরি থাকায় এই খাবারটি নিয়মিত খেলে স্বাস্থ্য খুবই দ্রুত বৃদ্ধি পাবে। বিশেষ করে কিশমিশ, খেজুর, তাই কাজু ও আমন্ড ছেলে খুবই দ্রুত আপনি আপনার শরীরের ওজন বৃদ্ধি করতে সক্ষম হবেন।
ডিমঃ ডিমে ক্যালরির পরিমাণ প্রচুর। এ কারণে খুব দ্রুত আপনার শরীরের ওজন বৃদ্ধিতে সহায়তা করতে পারে। নিয়মিত ডিম খেলে স্বাস্থ্যবান হওয়ার স্বপ্ন আপনার দ্রুত বাস্তবে পরিণত হবে। প্রতিদিন যদি দুই থেকে তিনটি ডিম খেতে পারেন, এটি আপনার স্বাস্থ্য দ্রুত বৃদ্ধি করবে। তবে অবশ্যই সেদ্ধ অবস্থায় সাদা অংশ সহ খেতে হবে।
ক্ল্যারিফায়েড বাটারঃ বাটার বাপনের প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন রয়েছে যা ওজন বাড়াতে সহায়তা করে। এক চামচ ক্লাসিফাইড। সাথে এক চামচ চিনি মিশিয়ে খেলে এটি আরও অধিক কার্যকর। রাত্রে খাবার আগে খেতে পারেন।
আলুঃ আলু খুব সাধারন একটি সবজি, কিন্তু রান্না ঘরে থাকা সাধারণ এই সবজিটি স্বাস্থ্য বাড়ানোর ক্ষেত্রে অসাধারণ কাজ করে থাকে। নিয়মিত কিছুদিন আলোকে নেই আপনি এর কার্যকরিতা উপলব্ধি করতে সক্ষম হবেন।
মিষ্টি খেলে কি মোটা হওয়া যায়
কিভাবে মোটা হওয়া যায় বা মিষ্টি খেলে কি মোটা হওয়া যায়? এ ধরনের প্রশ্ন অনেকেই করে থাকে। নিচে কিভাবে মোটা হওয়া যায় বা মিষ্টি খেলে কি মোটা হওয়া যায়? সে সম্পর্কে আলোচনা করা হবে। তো চলুন দেখে নেই কিভাবে মোটা হওয়া যায় মিষ্টি খেলে কি মোটা হওয়া যায়।
কিভাবে মোটা হওয়া যায় এ প্রশ্নটির উত্তর ইতোপূর্বেই দেওয়া হয়েছে। কিন্তু এখন প্রশ্ন হলো মিষ্টি খেলে কি মোটা হওয়া যায়? মিষ্টিতে যেহেতু প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন রয়েছে তাই অনেকে মনে করেন খাবার পরে নিয়মিত মিষ্টি খেলে স্বাস্থ্য বৃদ্ধি হতে পারে। তবে একটি বিষয় মনে রাখতে হবে অতিরিক্ত কোন কিছুই ভালো নয় তাই পরিমান মত মিষ্টি খেতে পারেন।
কিভাবে মোটা হওয়া যায় – মোটা হওয়ার জন্য ব্যায়াম
উপরোল্লিখিত বিভিন্ন প্যারায় কিভাবে মোটা হওয়া যায় সে সংক্রান্ত আলোচনা করা হয়েছে। এ পর্যায়ে আমরা আলোচনা করব মোটা হওয়ার জন্য ব্যায়াম নিয়ে। মোটা হওয়ার জন্য ব্যায়াম কোনগুলো, বা মোটা হওয়ার জন্য ব্যায়াম কিভাবে করতে। হয়, এই সকল প্রশ্নের উত্তর আর্টিকেলটিতে অংশে দেওয়া হবে।
মোটা হওয়ার জন্য ব্যায়ামঃ মোটা হওয়ার জন্য ব্যায়াম করতে হলে আপনাকে অবশ্যই জিমে যেতে হবে। কেননা এলোমেলোভাবে ব্যায়াম করলে তা আপনার শরীরের জন্য উপকারী হওয়ার চেয়ে ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনাই বেশি। তাই কখনোই ট্রেইনার ছাড়া নিজে নিজে এলোমেলোভাবে ব্যায়াম করার চেষ্টা করবেন না।