শবে কদরের রাতের ইবাদত করার নিয়ম জানা থাকলে আমরা খুব সহজেই আল্লাহর নৈকট্য হাসিল করতে পার। আল্লাহ তালার সন্তুষ্টির জন্য কদরের রাতের আমলসমূহ সম্পর্কে আমাদের প্রত্যেকের জানা জরুরী ।
প্রতিটি মুসলমানের কাছে কদরের রাত খুবই গুরুত্বপূর্ণ তাই কদরের রাতের আমলসমূহ সবারই জেনে রাখা দরকার । আমরা যারা জানিনা তাদের জন্য শবে কদরের ইবাদতের নিয়ম উল্লেখ করা হলো ।
শবে কদর কাকে বলে
সর্বপ্রথম আমাদেরকে জানতে হবে শবে কদর কাকে বলে। কেন শবে কদরের এত ফজিলত। তাহলে চলুন আমরা শবে কদর মুখে বলে এ বিষয়ে জেনে নিই বিস্তারিত। সাধারণত আমরা মুসলিম হিসেবে একটি রাতের সাথে সবাই পরিচিত সেটি হল শবে কদরের রাত। বছরের একটি সময় এ রাত আমাদের জীবনের আসে। যে রাতের তুলনা করা হয়েছে হাজার রাতের থেকেও উত্তম, অর্থাৎ এক রাতের ইবাদতে আল্লাহ তা’য়ালা হাজার রাতের ফজিলত আমাদের জন্য রেখেছেন । একবার ভাবুন আল্লাহ আমাদের জন্য কত বড় বরকতময় রাত রেখেছেন আমাদের নিজের গুনাহকে মাফ করিয়ে নেওয়া জন্য। তাহলে চলুন শবে কদর কাকে বলে এ সম্পর্কে জেনে নেই।
আরো পড়ুনঃ ডিপ্রেশন থেকে মুক্তির দশটি হাদিস
শবে কদর হল ফার্সি শব্দ এর আরবি হল লাইলাতুল কদর। লাইলাতুল কদরের অর্থ হল অতিশয় সম্মানিত মহিমান্বিত রাত, আবার অনেকেই এটিকে পবিত্র রজনী বলে থাকেন। এই রাতের ফজিলত আল্লাহ তায়ালা এত বৃদ্ধি করেছেন এর কারণ হলো ? রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের ওপরে এই রাতে কোরআন নাজিল করা হয়েছে। যে কোরআন মানবজাতির মুক্তির কিতাব হিসাবে নাযিল করা হয়েছে। এবং বলা হয়েছে কোন ব্যক্তি যদি সূরা বাকারা থেকে নাস পর্যন্ত পড়ে তবে অবশ্যই এসে একজন পরিপূর্ণ মানুষ হিসেবে গড়ে উঠবে।
ঠিক এই জন্যই আল্লাহ তাআলা এই রাতকে এত ফজিলত পূর্ণ করেছেন। এবং বলেছেন কোন ব্যক্তি যদি শবে কদরের রাত্রে আল্লাহ তায়ালার কাছে নিজের জন্য এবং অপরদের জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করেন তবে অবশ্যই আল্লাহ তাআলা তার ফরিয়াদকে ফিরিয়ে দেন না। তাহলে আমরা জানলাম শবে কদরের রাত কাকে বলে।
কদরের রাতে ইবাদত করার নিয়ম
কদরের রাতে এবাদত করার নিয়ম না জানার কারণে ঠিকভাবে আমরা আল্লাহ তাআলার করতে পারে না। সঠিক নিয়মে ইবাদত পালন করতে না পারার কারণেই আল্লাহ তা’আলা আমাদের উপর সম্পূর্ণ উপর সন্তুষ্ট হন না। আপনি যদি সঠিক নিয়মে আল্লাহ তাআলার ইবাদত পালন করতে চান তাহলে অবশ্যই আপনাকে জানতে হবে কিভাবে শবে কদরে রাতের ইবাদতের মাধ্যমে আল্লাহ তায়ালা নৈকট্য হাসিল করা যায়।
শবে কদরের রাতের সব থেকে বড় ইবাদত হল সালাত আদায় করা। সাধারণত সুনির্দিষ্ট ভাবে শবে কদরের তেমন কোনো ইবাদতের কথা উল্লেখ করা হয়নি। তবে আল্লাহর নৈকট্য হাসিলের জন্য সহি ভাবে সঠিকভাবে কিছু আমল করলেই আল্লাহর নৈকট্য হাসিল করা সম্ভব। তবে অবশ্যই সেটি রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের শেখানো পদ্ধতিতেই হতে হবে । আমাদের নিজেদের মনগড়া আমল করলে আল্লাহর নৈকট্য হাসিলের বিপরীতে আমরা আল্লাহর ক্রোধ হাসিল করব ।
ফলে আপনি ইবাদত করতে পারেন প্রথম অবস্থাতেই নামাজ দিয়ে শুরু করতে পারেন। আপনি নামাজের ভিতরে কোরআন তেলাওয়াত করতে পারেন। তবে অবশ্যই নামাজের ব্যাপারটাকে গুরুত্ব দিতে হবে বেশি। কদরের রাত্রিতে অবশ্যই মাগরিব এবং এশার সালাত জামাতে আদায় করতে হবে। এশার সালাত জামাতে আদায় করার পরে অবশ্যই কিয়ামুল লাইল অর্থাৎ তারাবির সালাত আদায় করতে হবে।
তারাবির সালাত আদায় করে আপনি যদি পারেন এক ঘন্টা ঘুমিয়ে নিতে তবে রাতে ইবাদত করতে আপনার জন্য সুবিধা হবে। কারণ ইবাদত করার সময় যদি আপনার ঘুম আসে তবে অবশ্যই বিঘ্ন ঘটবে। আপনি ইবাদত শুরু করার আগে অবশ্যই একটু একটু ঘুমিয়ে নিন এতে করে আপনার ইবাদতে মনোযোগ আসবে। এক ঘন্টা ঘুমানোর পর আপনি অজু করে যদি পারেন গোসল করে নিতে পারেন পাক-পবিত্র হয়ে মসজিদে এসে দু রাকাত তাহিইয়াতুল মসজিদ সালাত আদায় করে শবে কদরের সালাতের নিয়োত করবেন ।
শবে কদরের রাতের আমল
শবে কদরের রাতের আমলসমূহ যদি আপনি পরিপূর্ণভাবে না জানেন তবে বিস্তারিত জেনে নিন । বেশি গুরুত্বপূর্ণ আমল রয়েছে যেগুলো শবে কদরের রাতে রাসুল সাঃ পড়েছেন এবং আমাদেরকে নির্দেশ করেছেন। ইসলামিক দৃষ্টিকোণ থেকে শবে কদরের রাত খুবই গুরুত্বপূর্ণ এবং প্রতিটি মুসলিমের কাছে খুবই অপেক্ষা মান একটি রাত। যে রাতে ইবাদত করে আল্লাহর নৈকট্য হাসিল করার জন্য এগারোটা মাস ধরে অপেক্ষা করে একজন মুমিন। এবং আপনি যদি একজন মুমিন হয়ে থাকেন তাহলে অবশ্যই আপনাকে শবে কদরের রাতের আমল সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে হবে।
শবে কদরের প্রথম ইবাদত হল তারাবির সালাত আদায় করা। এবং জামাতের সাথে এশার সালাত আদায় করা। একটু অপেক্ষা করে রাত যখন গভীর হয় তখন নফল নামাজের নিয়ত করা। এ রাতে নামাজের গুরুত্বই বেশিরভাগ স্কলাররা দিয়ে থাকেন। এবং তিনারা বলেন নামাজে অনেক সময় দেওয়া প্রয়োজনে নামাজে কোরআন তেলাওয়াত করা, যদি কুরআন মুখস্থ না থাকে তাহলে অবশ্যই তাসবিহ গুলো বেশি বেশি পাঠ করা ।
যেমন সিজদায় গিয়ে তিনবার পাঁচবার সাতবারের থেকেও অনেক বেশি তাসবীহ পাঠ করা ঠিক একইভাবে রুকুতেও । এবং নামাজের সালাতের মধ্যে যদি সূরা বেশি মুখস্ত না থাকে তবে একই সূরা বারবার পাঠ করা । মোক্ষম উদ্দেশ্য হলো নামাজে সময় বেশি দেওয়া। কিন্তু আমরা করি উল্টাটা। আমরা নামাজের সময় বেশি না দিয়ে প্রতিযোগিত করি কে কার থেকে বেশি রাকাত নামাজ পড়তে পারি। ফলে আমাদের ইবাদত নষ্ট হয়ে যায়। কাজেই সালাত কম আদায় করুন সময় বেশি দিন আল্লাহ কবুল করবেন ইনশাআল্লাহ ।
শবে কদরের আরেকটি মোক্ষম ইবাদতের কথা হাদিসে উল্লেখ করা হয়েছে সেটি হল জিকির আজগার করা। তবে অবশ্যই সেটা রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের শিখানো পদ্ধতিতেই হতে হবে। বেশিরভাগ সময় দেখা যায় অনেক মানুষ চিল্লায় চিল্লায় জোরে জোরে আওয়াজ করে আল্লাহু আল্লাহু জিকির করে থাকেন। কিন্তু হাদিসে এমনটা বলা হয়নি। জিকির করতে হবে মনে মনে ধীরে ধীরে এবং সহিহ হাদিসের নিয়মে। আওয়াজ করে জিকির করার কোন নিয়ম রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাদেরকে দেন নাই। কাজেই জিকির একটি গুরুত্বপূর্ণ ইবাদত তবে অবশ্যই সেটি মনে মনে করতে হবে।
শবে কদর কবে
শবে কদর কবে ? এই প্রশ্নটি আমাদের সকলের মনে ঘুরপাক খায় কেননা শবে কদর সম্পর্কে আমরা অনেকেই বেখেয়াল। যদি আপনি আল্লাহ তাআলার ইবাদত করতে চান এবং শবে কদর পেতে চান তাহলে অবশ্যই আপনাকে এই বিষয়গুলো সম্পর্কে জানতে হবে। হাজার হাজার বছর ইবাদত করলে জেনে কি পাওয়া যায় না তার থেকেও অনেক বেশি নেকি পাওয়া যায় এই একটি রাত ইবাদত করলে। উপমহাদেশের বেশিরভাগ দেশে এই শবে কদর পালন করা হয় ২৭ সে রমজান রাতে অর্থাৎ ২৬ শে রমজান দিবাগত রাত্রিতে সকলেই ইবাদতে মগ্ন থাকে।
কিন্তু সহি হাদিস দ্বারা প্রমাণিত যে ২৭ এর রাত্রিতেই যে শবে কদর হবে এমন কোন নিশ্চয়তা রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হাদিসে উল্লেখ করেন নাই। আল্লাহতালা আর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে শবে কদরের রাত সম্পর্কে জানিয়ে দিয়েছিলেন, এবং তিনি সেটি সকলের মাঝে বলতে গিয়ে দুই ব্যক্তির ঝগড়া শুনে তিনি শবে কদরের দিন সম্পর্কে ভুলে যান। কিন্তু এইটা রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের মনে ছিল সে রাত্রি ছিল শেষ দশকের বিজোড় রাত্রি।
অর্থাৎ ২১, ২৩, ২৫, ২৭, ২৯ রমজানের দিবাগত রাত। এবং রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাই সাল্লাম আমাদের উদ্দেশ্যে বলেছিলেন কেউ যদি শবে কদর পেতে চায় তবে অবশ্যই শেষ দশকের বিজর রাতে যেন সে শবে কদর তালাশ করে। তাহলে বোঝা গেল ২৭ এর রাত্রিতেই যে শবে কদর হবে এমন নিশ্চয়তা রাসুল সাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আমাদের দেন নাই।
শবে কদরের নামাজ
শবে কদরের নামাজ পড়তে হলে অনেকেই একটি প্রশ্ন করে থাকেন সেটি হল যে, আমি তো শবে কদরের নামাজের নিয়ত জানি না তাহলে আমি কিভাবে শবে কদরের নামাজ আদায় করব ? অবশ্যই গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয় কারণ নামাজ আদায় করতে গেলে অবশ্যই আপনাকে নিয়ত করতেই হবে কেননা প্রত্যেকটি ইবাদতই নিয়তের উপরে নির্ভরশীল। আপনি যদি নিয়ত না করেন অবশ্যই আপনার কোন আমলেই গ্রহণযোগ্য হবে না। তাহলে শবে কদরের নামাজের নিয়ত কি চলুন বিস্তারিত জেনে নিই।
শবে কদরের রাতের নামাজের ক্ষেত্রে নির্ধারিত কোনো নিয়ত সহি হাদিস দ্বারা প্রমাণিত না। চটি বইয়ে যে নিয়তগুলা পাওয়া যায়। মূলত সেগুলো মানুষের তৈরি করা নিয়োত। কেন না নিয়ত কখনো মুখে উচ্চারণ করা যায় না, আপনি সুস্থ মস্তিষ্কে চিন্তা করে দেখুন নিয়ত করতে হয়, যেকোনো কাজ যদি করা হয় তবে অবশ্যই সেটা পড়ার কোন অপশন থাকে না। কাজেই নিয়ত করতে হয় মনে মনে।
নিয়ত এর অর্থ কি চলুন জেনে নিই। নিয়তের শাব্দিক অর্থ হলো সংকল্প করা , ইচ্ছা করা, তাহলে আপনি একবার ভাবুন তো যেটা মনে মনে সংকল্প করতে হয় মনের ইচ্ছা পোষণ করতে হয় সেটা কি পড়া যায় ? অবশ্যই সেটা পড়া যায় না কাজেই আপনাকে নিয়ত অবশ্যই করতে হবে তবে সেটা মনে মনে । মুখে উচ্চারণ করে নিয়ত করার কোন নিয়ম সহি হাদিস দ্বারা প্রমাণিত না । যদি কেউ মুখে নিয়ত পাঠ করে তবে অবশ্যই সেটা বিদ’আত হবে ।
আমাদের মধ্যে অনেকেই এই নিয়ত না জানার কারণে নামাজে অংশগ্রহণ করে না এবং ইবাদতও করতে চায় না। এটা ভেবে যে আমি তো নিয়তি পারিনা তাহলে আমি নামাজ পড়বো কিভাবে ? উপরোক্ত বিষয় থেকে আমরা জানতে পারলাম মুখে নিয়ত পড়ার কোন পদ্ধতি সহীহ হাদিস দ্বারা পাওয়া যায় না। কাজেই শুধু নামাজ না যেকোনো ইবাদতের ক্ষেত্রে আপনি মন থেকে সংকল্প করলেই আপনার নিয়ত হয়ে যাবে মুখে পড়ার প্রয়োজন নেই। আশা করি বুঝতে পেরেছেন।
শবে কদরের ফযিলত
বেশিরভাগ মানুষই সবে কদর সম্পর্কে অবগত না। সাধারণ এ বিষয়গুলো না জানার কারণে আমরা অবহেলার সাথে শবে কদর থেকে বঞ্চিত হচ্ছি। কিন্তু আমাদের একটি বিষয় গুরুত্বের সাথে জেনে রাখা উচিত শবে কদরের একটি রাত সাধারণ হাজার রাতের চেয়ে অনেক বেশি উত্তম । এই কথা দ্বারাই শবে কদরের ফজরত সম্পর্ক অনেকটাই ধারণা পাওয়া যায় । শবে কদরের পবিত্র এ রাতের ফজিলত সম্পর্কে বিভিন্ন হাদিস দ্বারা প্রমাণিত রয়েছে । আমাদের প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাদেরকে এ বিষয়ে আগে থেকেই ধারণা দিয়ে গিয়েছেন । সাধারণত এ রাতকে বলা হয় গুনা মাপের অন্যতম একটি সেরা রাত ।
রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন যে ব্যক্তি রমজান মাসে ফরজ সিয়াম আদায় করবে , তারাবির সালাত আদায় করবে, কদরের রাত্রিতে সারারাত আল্লাহর ইবাদতে কাটাবে আল্লাহ তার পিছনের সমস্ত পাপকে ক্ষমা করে দিবেন (সহি মুসলিম)
আমরা সবাই জানি যে রমজান মাসে যত পবিত্র কোরআন নাজিলের মাস। এবং শবে কদ এই কোরআন রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের উপরে নাযিল করা হয়েছে। শবে কদরের রাতেই প্রথম পবিত্র মক্কা মুকাররমার হেরা পর্বতের গুহায় আল্লাহ তাআলা পক্ষ থেকে জিব্রাইল আলাইহিস সাল্লাম এর মাধ্যমে প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের উপর মহাগ্রন্থ আল কোরআন নাজিল করেছিলেন । এমনকি আমাদের পৃথিবীতে যতগুলো কিতাব রয়েছে সমস্ত কিতাবের চেয়ে পবিত্র কিতাব হল মহাগ্রন্থ আল কুরআন । যেহেতু এই পবিত্র কোরআন আল্লাহতালা রমজান মাসে এই পবিত্র রাতে নাযিল করেছেন , তাহলে এর ফজিলত সম্পর্কে আমরা একটু হলেও ধারণা করতে পারি।
তাই এই ফজিলতের রাতে অহেতুক সময় পার না করে যতটুকু সম্ভব আল্লাহর ইবাদতে মশগুল থাকার সেষ্ট করতে হবে।
শবে কদর বা রমাজানের গুরুত্ব
শবে কদরের গুরুত্ব এবং ফজিলত সম্পর্কে বলে শেষ করা সম্ভব না। দীর্ঘ ১১ টি মাস পর আমাদের মাঝে পবিত্র রমজান মাসের দেখা মিলে। অনেকেই এক রমজান কাটিয়ে পরের রমজান হায়াত পায়না এর আগেই অনেকে মৃত্যু বরণ করেন। রমজান মাসের শবে কদরের রাতে যে কতটা গুরুত্বপূর্ণ এটা যদি কেউ নিজের চোখে দেখতে পেত তবে অবশ্যই এই রাতের অপেক্ষার জন্য আল্লাহর কাছে ১১ টি মাস দোয়ায় লিপ্ত থাকতো । কেননা রমজান মাসের শেষ দশকের কদর রাত্রি টা হল হাজার রাতের থেকেও উত্তম রাত।
যে রাতে আল্লাহ তা’আলা সপ্তম আসমান থেকে প্রথম আসমানে অবতরণ করেন। এবং লোকদিগকে বলেন, হে আমার বান্দা কে আছো ক্ষমাপ্রার্থী আমার কাছে ক্ষমা চাও, আমি তোমাকে ক্ষমা করব । হে আমার বান্দা কে আছো ঋণগ্রস্ত আমার কাছে পানাহ চাও , আমি তোমার ঋণ পরিশোধ করার ব্যবস্থা করে দেব , কে আছো বিপদগ্রস্ত আমার কাছে বিপদ থেকে মুক্তি চাও আমি তোমাদেরকে বিপদ থেকে মুক্ত করবো ।
কে আছো পেরেশানির মধ্যে আমার কাছে পেরেশানি থেকে মুক্তি চাও আমি তোমার পেরেশানি দূর করবো। কে আছো অসুস্থ , আমার কাছে সুস্থতা কামনা কর আমি তোমাদেরকে সুস্থতা দান করব । কে আছো অভাবগ্রস্ত আমার কাছে চাও আমি তোমার অভাব দূর করব । কে আছো নিঃসন্তান আমার কাছে যা আমি তোমাকে সন্তান দান করব । এমনভাবে আল্লাহ তা’আলা আমাদেরকে ডাকতে থাকেন । অথচ আমরা আল্লাহর ডাকে সাড়া না দিয়ে বিভোর ঘুমে অচেতন হয়ে থাকি ।
উপরোক্ত বিষয় থেকে আমরা বুঝতে পারলাম এই রাতের গুরুত্ব কতটা বেশি । আল্লাহ তাআলা এ রাতে আমাদেরকে সবকিছু দেওয়ার প্রতিজ্ঞা করেছেন আল্লাহর কাছ থেকে চেয়ে নিতে পারি না । ফলে এই রাতের গুরুত্ব থেকে আমরা বঞ্চিত হই। শুধু তাই না এই রাতের ইবাদত না করে আল্লাহতালার কাছে আমি আমার গুনাহ ক্ষমা না ফুরিয়ে যদি মারা যায় তবে আল্লাহ তাআলা আমাকে কালকে কিয়ামতের দিন অবশ্যই প্রশ্নের সম্মুখীন করবেন কেন তুমি সুযোগ থাকতেও আমার কাছে ক্ষমা চাও নি ? আজ আমি তোমাকে গ্রেফতার করবো । তখন আমাদের আর কিছু বলার থাকবে না সুতরাং আমরা এখন থেকেই সাবধান হব এবং আল্লাহ তালার ইবাদতে মগ্ন থাকব ইনশাআল্লাহ
লেখকের শেষ মন্তব্য
প্রিয় বন্ধুগণ
শবে কদরের রাতের ইবাদত সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করার চেষ্টা করেছি। আপনি যদি মনোযোগ সহকারে পড়ে থাকেন তবে এই আর্টিকেল থেকে অবশ্যই আপনার জীবনে পরিবর্তন আনতে পারবেন । এবং শবে কদরের রাতের গুরুত্ব এবং ফজিলত থেকে বঞ্চিত হবেন না। যেহেতু ১১ টি মাস পরে আমরা এই রজনী পাচ্ছি সেহেতু আমাদের এই রাতটিকে অবহেলা করা উচিত নয়।
আশা করি আপনারা এই পোস্টটি পেরে সবে কদরের ইবাদত সম্পর্কে জেনেছেন এবং আমল করার নিয়ত করেছেন। যদি আপনার এই আর্টিকেলটি ভালো লেগে থাকে তবে অবশ্যই আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করতে ভুলবেন না। এমন আরো গুরুত্বপূর্ণ টপিক সম্পর্কে আর্টিকেল পেতে নিয়মিত আমাদের ওয়েবসাইটটি ফলো করুন । আমরা নিয়মিত নতুন নতুন আর্টিকেল পেজে পাবলিশ করে থাকি। এতক্ষণ আমাদের সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ।