টেনশন আমাদের জাতীয় একটি সমস্যা । এই টেনশন থেকে মুক্তি পেতে কত কিছুই না করছেন তবুও ফল পাচ্ছেন না । আজ আমারা জানবো কুরআনের কোন সূরা পড়লে টেনশন থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। এবং টেনশন থেকে মুক্তি পেতে ইসলামের নির্দেশনা কি ?
আমরা বিভিন্ন কারণে টেনশনে পড়ে যাই এবং তা থেকে পরিত্রাণের পথ খুঁজি. টেনশন দূর করার জন্য অনেক ওষুধও সেবন করে থাকি। কিন্তু এরপরেও টেনশন থেকে মুক্ত হতে পারেনা। আজকের আর্টিকেলের মাধ্যমে আপনারা জানতে পারবেন কোরআনের কোন সূরা তেলাওয়াত করলে টেনশন থেকে মুক্ত থাকতে পারবেন ।
টেনশনের কারণ কি !
টেনশন এমন একটা সমস্যা যা প্রায় সব মানুষেরই মধ্যে বিরাজ করে।। মানুষের মধ্যে টেনশন বিভিন্ন কারণে আসে, টেনশন হওয়ার মূলত অনেক কারণ থাকে । যেকোনো ছোট বড় কারণে দুশ্চিন্তা হতে পারে। এবং পারিবারিক অনেক সমস্যার কারণে টেনশন হতে পারে । তবে এই টেনশন থেকে পরিত্রাণের পথ কি ? আজকের এই আর্টিকেল এর মাধ্যমে আপনারা তা জানতে পারবেন ইনশাআল্লাহ।
বেশিরভাগ ক্ষেত্রে দুশ্চিন্তা চলে আসে তরুণ বয়সের মানুষের ক্ষেত্রে। কারণ টিনেজ লাইফের সময়টা এমন একটা সময় যে সময় জীবনের প্রতিটি লক্ষ্য স্থির করতে হয় । ভাবতে হয় আপনি কোন দিকে যাবেন কোন পথ বেছে নিবেন। এমনকি এই সময় যদি আপনি ভুল পথ নির্ধারণ করেন তবে সারা জীবন সেই ভুলের মাশুল আপনাকে দিতে হবে।
এছাড়াও মানুষ অনেক কারণে টেনশন এ পড়ে থাকে । যেমন তার জীবনযাত্রায় যদি কোন কাজ করে বা ব্যবসা-বাণিজ্য যেটাই হোক না কেন, প্রতিবার যদি সেই কাজে ব্যর্থ হয় সে ক্ষেত্রে অনেক বড় একটি টেনশনের প্রেসার মাথায় এসে পড়ে, এমনকি এই টেনশনের চাপের কারণে আমাদের শরীরের রক্তচাপ বেড়ে গিয়ে অনেকে স্ট্রোক পর্যন্ত করে।
আরো পড়ুনঃ পিরিয়ডের সময় কি ব্যবহার করা উচিত
মূলত টেনশন কোন সমাধান নয়। সব সমস্যার সমাধান অবশ্যই রয়েছে তবে যদি আপনি অতিরিক্ত টেনশন করেন তাহলে অবশ্যই সেটা আপনার জন্য কল্যাণকর হবে না। টেনশন একান্তই যদি দূর না হয় তবে অবশ্যই আপনাকে কোরআনের শরণাপন্ন হতে হবে।
টেনশন দূর করার উপায়
টেনশন দূর করার উপায় সম্পর্কে আমাদের জানা অত্যন্ত জরুরি ও গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল । আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর একটি বিষয় তা হলো, আমরা যদি অতিরিক্ত পরিমাণে টেনশন করি তাহলে আমাদের শরীরে বিভিন্ন ধরনের সমস্যা দেখা দিতে পারে। এই সমস্যাগুলো সমাধানের জন্য আমাদের অবশ্যই টেনশন থেকে মুক্ত থাকতে হবে। এখন আমরা জানবো টেনশন থেকে মুক্তি পাবার উপায় সমূহঃ
- টেনশন হলে কোথাও ঘুরতে যাওয়া
- সবার সাথে কথা বলা
- হাসার চেষ্টা করা
- নিজেকে কাজে ব্যস্ত রাখা
- সকালে ঘুম থেকে তাড়াতাড়ি ওঠা
- খাদ্য তালিকা ঠিক রাখা
- প্রোটিনযুক্ত খাবার খাওয়া
- মেডিটেশন করা
- সকালবেলা হাটাহাটি করা
টেনশন হলে কোথাও ঘুরতে যাওয়া– যাদি আপনি টেনশন দূর করতে না পারেন তখন আপনার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ কাজ হল সমস্ত কিছু রেখে ঘুরতে যাওয়া । কারণ আপনি যখন ঘুরতে যাবেন তখন আপনার মানসিক চাপ মুক্ত হবে , টেনশন মুক্ত হবে , আপনার দুশ্চিন্তাও দূর হয়ে যাবে। ঘুরতে যাওয়ার জন্য আপনি বিভিন্ন জায়গা নির্বাচন করতে পারেন এর মধ্যে রয়েছে কক্সবাজার , সাজেক বান্দরবন , সুন্দরবন ইত্যাদি ।
সবার সাথে কথা বলা-– সাধারণত দুশ্চিন্তার ফলে আমরা লোকালয় থেকে দূরে থাকি । নিজেকে একা রাখার চেষ্টা করি, আবদ্ধ একটি ঘরের মধ্যে নিজেকে বন্দী রাখি, এর ফলে দুশ্চিন্তা কমে না বরং বাড়ে। এর জন্য আপনি যেটা করতে পারেন সেটি হল, বেশি বেশি মানুষের সাথে মেলামেশা করুন, কথা বলুন, তাদের সাথে নিজের কষ্টের কথা শেয়ার করুন, এর ফলে আপনার দুশ্চিন্তা কমবে ।
হাসার চেষ্টা করুন-–অতিরিক্ত পরিমাণে টেনশন করলে আমাদের মুখ দিয়ে হাসি বের হয় না সাধারণত তাই আমরা আরো বেশি দুশ্চিন্তায় পড়ে যাই। যদি আপনি দুশ্চিন্তা মুক্ত হতে চান তাহলে আপনাকে অবশ্যই হাসার চেষ্টা করতে হবে এবং হাসি খুশি থাকতে হবে ।
নিজেকে কজে ব্যাস্ত রাখা– আপনার যখন দুশ্চিন্তা হবে তখন যদি আপনি বাসায় বসে থাকেন সেক্ষেত্রে দুশ্চিন্তা আরও আপনার ঘাড়ে চেপে বসতে পারে । আপনি যে কোন কাজে লেগে পড়েন সেটা যেকোনো ধরনের কাজ হতে পারে । আপনার বাসার কাজ , বাহিরের কাজ, ক্ষেতের কাজ, এতে আপনার দুশ্চিন্তা দূর হবে ।
সকালে ঘুম থেকে তাড়াতাড়ি ওঠা-– বেশিরভাগ সময় আমরা রাতে সঠিকভাবে ঘুমাই না এবং সকালে সঠিক সময় ঘুম থেকে উঠি না যার ফলে শরীর অতিরিক্ত পরিমাণ অসুস্থ হয়ে যায় । সকালে ঘুম থেকে তাড়াতাড়ি উঠার চেষ্টা করুন ।
খাদ্য তালিকা ঠিক রাখা-–অনেক সময় আমরা টেনশন এর কারণে খাওয়া-দাওয়া ছেড়ে দেই এর ফলে আমাদের শারীরিক নানা ধরনের জটিলতা সৃষ্টি করে আপনি যদি দুশ্চিন্তা মুক্ত থাকতে চান তাহলে অবশ্যই খাবার নিয়মিত গ্রহণ করুন ।
প্রোটিন যুক্ত খাবার খাওয়া– খাদ্য তালিকা ঠিক রাখার পাশাপাশি আমাদের খাদ্যের পুষ্টিগণের দিকেও খেয়াল রাখতে হবে। অতিরিক্ত চিন্তার ফলে আপনার শারীরিক যে ঘাটতি হয় প্রোটিন যুক্ত খাবার না খেলে আপনার শরীর আরো খারাপ হতে পারে । এতে আপনার দুশ্চিন্তা দূর হবার থেকে আরো দ্বীগুন হয়ে যাবার সম্ভাবনা থাকে ।
মেডিটেশন করা-– টেনশন থেকে মুক্তি পাবার আরো অন্যতম একটি পদ্ধতি অবলম্বন করা হয় সেটি হল মেডিটেশন করা। মেডিটেশন হলো এক ধরনের ব্যায়াম। বৈজ্ঞানিক পরীক্ষা দ্বারা প্রমাণিত যে আপনি যদি দুশ্চিন্তা মুক্ত হতে চান তাহলে অবশ্যই আপনাকে নিয়মিত মেডিটেশন করতে হবে হবে ।
সকাল বেলা হাটাহাটি করা-– সকালবেলা হাটাহাটি করার অভ্যাস গড়ে তুলুন। সকালবেলা শীতল আবহাওয়ায় কিছুক্ষণ হাটা আমাদের শরীরের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সকলের ঠান্ডা শীতল হাওয়াতে হাটাহাটি করার উপকারিতা অনেক বেশি । তাই সকালে হাটাহাটি করার অভ্যাস গড়ে তুলুন ।
কোন সূরা পড়লে চিন্তা মুক্ত হওয়া যায়
ইসলাম এমন একটা ধর্ম যেখানে সকল সমস্যার সমাধান আল্লাহ তায়ালা রেখেছেন। কোন সূরা পড়লে টেনশন দূর হয় তা আপনারা এখন জানতে পারবেন। দুশ্চিন্তা এবং মানসিক অস্থিরতা একজন মানুষকে আস্তে আস্তে শেষ করে দেয়। স্বাভাবিক জীবনযাত্রা বিনষ্ট করে দেয়। টেনশন থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাদের অনেকগুলো দোয়া শিক্ষা দিয়েছেন আমরা তা ধীরে ধীরে জানবো ইনশাআল্লাহ ।
মূলত টেনশন দূর করার জন্য নির্দিষ্ট কোনো সূরা উল্লেখ্য করা হয়নি। পুরো কুরআনই হলো চিন্তা মুক্তো করার মূল মাধ্যম। অর্থাৎ আপনার যখন অতিরিক্ত টেনশন হবে চিন্তা হবে তখন আপনি আল্লাহর কথা স্মরণ করবেন এবং কোরআন তেলাওয়াতে লিপ্ত থাকবেন। কোরআন তেলাওয়াত যদি করতে না পারেন তাহলে তেলাওয়াত শুনবেন, দেখবেন আপনার চিন্তা টেনশন অনেকটাই কমে গেছে ।
টেনশন দূর করার আরেকটি অন্যতম মাধ্যম হলো আল্লাহর রাস্তায় দান সদাকা করা। আপনার ভালো সময় যদি ১০০ টাকা দান করেন খারাপ সময় অন্তত দশ টাকা দান করতে পারবেন। দান করার অভ্যাস করুন আল্লাহ আপনার জীবনের অনেক বিপদ থেকে আপনাকে মুক্ত করে দিবেন । রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন –
সাদাকা আল্লাহর ক্রোধকে শান্ত করে। একবার ভাবুন আল্লাহ যদি আপনার উপরে রাগান্বিত না হন তাহলে অবশ্যই আপনাকে ভালোবাসেন। এবং তিনি আপনার সকল বিপদ থেকে আপনাকে মুক্ত রাখবে। আপনাকে সকল প্রকার দুশ্চিন্তা থেকে পরিত্রাণ দান করবেন।
আমরা এই পোস্টে আলোচনা করলাম কোন সূরা পাঠ করলে (কোরআন তেলাওয়াত) করলে টেনশন দূর হয় তার সম্পর্কে বিস্তারিত ।
টেনশন থেকে মুক্তির দোয়া
একজন মুমিন কখনো হতাশ কিংবা দুশ্চিন্তাগ্রস্থ হয় না। হাদিসে বেশ কিছু দোয়া শিক্ষা দেওয়া হয়েছেে এই দোয়া গুলো বেশি বেশি পড়ুন দেখবেন আপনার দুশ্চিন্তা ক্রমে ক্রমে দূর হয়ে যাবে ইনশাআল্লাহ।
এক হাদীসে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন আমি এমন একটা দোয়া সম্পর্কে অবগত করছি।কোন বিপদগ্রস্ত লোক পাঠ করলে আল্লাহ তাআলা তার সেই বিপদ দূর করে দেন সেটি হচ্ছে দোয়া ইউনুস আলাইহিস সালামের দোয়া
আরবি : لاَ إِلَهَ إِلاَّ أَنْتَ سُبْحَانَكَ إِنِّي كُنْتُ مِنَ الظّالِمِينَ
উচ্চারণ : লা ইলাহা ইল্লা আনতা সুবহানাকা ইন্নি কুনতু মিনাজ জ্বালিমিন।
অর্থ : হে আল্লাহ! তুমি ছাড়া কোনো সত্য উপাস্য নেই ,আমি তোমার পবিত্রতা বর্ণনা করছি। নিঃসন্দেহে আমি নিজের প্রতি অবিচার করেছি।
(তিরমিজি, হাদিস : ৩৫০৫)
রাসুল (সাঃ) চিন্তা ও পেরেশানির জন্য একটি বিষেশ দোয়াটি পড়তেন ।
দোয়া টি হলোঃ
আরবি: إِنِّي أَعُوذُ بِكَ مِنَ الهَمِّ وَالحَزَنِ، وَالعَجزِ وَالكَسَلِ، وَالبُخلِ وَالجُبنِ، وَضَلَعِ الدَّينِ وَقَهْرِ الرِّجَالِ
উচ্চারণ : আল্লাহুম্মা ইন্নি আউজু বিকা মিনাল হাম্মি ওয়াল হুযনি, ওয়া আউজু বিকা মিনাল আজযি ওয়াল-কাসালি, ওয়া আউজু বিকা মিনাল বুখলি ওয়াল জুবনি, ওয়া আউজু বিকা মিন গালাবাতিদ দাইনি ওয়া কাহরির রিজাল।
অর্থ : হে আল্লাহ! নিশ্চয়ই আমি আপনার আশ্রয় নিচ্ছি দুশ্চিন্তা ও দুঃখ থেকে, অপারগতা ও অলসতা থেকে, কৃপণতা ও ভীরুতা থেকে, ঋণের ভার ও মানুষদের দমন-পীড়ন থেকে।
আনাস (রা.) বর্ণনা করেন, রাসুল (সাঃ) চিন্তাগ্রস্ত অবস্থায় এই দো’য়া পড়তেন।
( সহিহ বুখারি, হাদিস নং : ২৮৯৩)
আরবি: اللَّهُمَّ رَحْمَتَكَ أَرْجُو، فَلاَ تَكِلْنِي إِلَى نَفْسِي طَرْفَةَ عَيْنٍ، وَأَصْلِحْ لِي شَأْنِي كُلَّهُ، لاَ إِلَهَ إِلاَّ أَنْتَ
উচ্চারণ: আল্লা-হুম্মা রহ্মাতাকা আরজু ফালা তাকিলনী ইলা নাফসী ত্বারফাতা ‘আইন, ওয়া আসলিহ্ লী শা’নি কুল্লাহু, লা ইলা-হা ইল্লা আনতা।
অর্থ: “হে আল্লাহ! আমি আপনার রহমতেরই আশা করি। তাই আপনি এক নিমেষের জন্যও আমাকে আমার নিজের কাছে সোপর্দ করবেন না। আপনি আমার সার্বিক বিষয়াদি সংশোধন করে দিন। আপনি ছাড়া কোনো হক্ব ইলাহ নেই।”
সুনানে আবূ দাউদ, ৪/৩২৪, নং ৫০৯০; আহমাদ ৫/৪২, নং ২০৪৩০।
শাইখ নাসির উদ্দিন আলবানী রহিমাহুল্লাহ সহীহ আবু দাউদ গ্রন্থে ৩/৯৫৯ এটাকে হাসান হাদীস বলেছেন।
আরবি: إِلَهَ إِلاَّ اللَّهُ الْعَظِيمُ الْحَلِيمُ، لاَ إِلَهَ إِلاَّ اللَّهُ رَبُّ الْعَرْشِ الْعَظِيمِ، لاَ إِلَهَ إِلاَّ اللَّهُ رَبُّ السَّمَوَاتِ وَرَبُّ الْأَرْضِ وَرَبُّ الْعَرْشِ الْكَرِيمِ
উচ্চারণ: লা ইলা-হা ইল্লাল্লা-হুল ‘আযীমূল হালীম। লা ইলা-হা ইল্লাল্লা-হু রব্বুল ‘আরশিল ‘আযীম। লা ইলাহা ইল্লাল্লা-হু রব্বুস সামা-ওয়া-তি ওয়া রব্বুল আরদ্বি ওয়া রব্বুল ‘আরশিল কারীম।
অর্থ: আল্লাহ ছাড়া কোনো হক্ব ইলাহ নেই, তিনি মহান ও সহিষ্ণু। আল্লাহ ছাড়া কোনো হক্ব ইলাহ নেই, তিনি মহান আরশের রব্ব। আল্লাহ ছাড়া কোনো হক্ব ইলাহ নেই, তিনি আসমানসমূহের রব্ব, যমীনের রব্ব এবং সম্মানিত ‘আরশের রব্ব।
(সহীহুল বুখারী, (ফাতহুল বারীসহ) ৭/১৫৪, নং ৬৩৪৫; সহীহ মুসলিম ৪/২০৯২, নং ২৭৩০
ডিপ্রেশন কমাতে ইসলামের নির্দেশনা
ডিপ্রেশনের চাপ কমানোর জন্য ইসলামের অনেক নির্দেশনা রয়েছে । যেগুলো মেনে চললে আপনি খুব সহজেই ডিপ্রেশনের ভয়াবহ অন্ধকার থেকে বেরিয়ে আসতে পারবেন। ইতিমধ্যে আমরা টেনশন কমানোর ইসলামিক উপায় সম্পর্কে জেনেছি যেমনঃ= কোরআন তেলাওয়াতের মাধ্যমে ,সুরা তিলাওয়াতের মাধ্যমে, এবং রাসুল সাঃ এর দেওয়া দোয়া পাঠের মাধ্যমে জেনেছি। এখন আমরা আরো ইসলামিক নির্দেশনা বিস্তারিত জানবো, যে নির্দেশনা গুলো আমরা যদি বাস্তব জীবনে প্রয়োগ করি তাহলে অতি সহজেই ডিপ্রেশন থেকে আমরা বেরিয়ে আসতে পারবো ।
আরো পড়ুনঃ বাবাকে হারানো কষ্টের স্ট্যাটাস ২০২৪
টেনশন থেকে মুক্তি পাবার ইসলামিক নির্দেশনা অনুযায়ী স্কলাররা যেটা বলে থাকে, বেশিরভাগ সময়ই আল্লাহ তায়ালার ইবাদতে মগ্ন থাকতে হবে। কারণ একমাত্র আল্লাহ তা’আলা আমাদের সকল দুঃখ , দুর্দশা , হতাশা , টেনশন করতে পারে। মানুষের চাপ দূর করার জন্য আমাদের তাকদিরের ওপর আস্থা রাখতে হবে। কারণ আমার জীবনে ভালো মন্দ কখন কি হবে আমরা সেটা নিজেরাও জানিনা সুতরাং যখন আমার ভালো হবে তখনও ভাবতে হবে এটা আমার তাকদিরে ছিল এবং আল্লাহর শুকরিয়া আদায় করতে হবে। আবার যদি খারাপও হয় তারপরেও এটাই বিশ্বাস করতে হবে এটাও আমার তকদিরে ছিল। এজন্য তোকেরে কথা চিন্তার না করে আমাদের নিজের সাধ্যমত চেষ্টা করতে হবে জীবনের সফলতা অর্জন করার জন্য। সব সময় বেশি বেশি আল্লাহর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করতে হবে, ইস্তেগফার করতে হবে, তাওবা পাঠ করতে হবে , নিয়মিত ব্যায়াম করতে হবে , পুষ্টিকর খাবার খেতে করতে হবে , এবং বেশি বেশি নফল সালাত আদায় করতে হবে ।
আমরা এই পোস্টে আলোচনা করলাম, ডিপ্রেশন থেকে বাঁচার ইসলামিক নির্দেশনা সম্পর্কে বিস্তারিত ।
শেষ কথা
প্রিয় বন্ধুগণ আমরা আমাদের আর্টিকেল আলোচনা করেছি কুরআনের কোন সূরা পড়লে টেনশন দূর হয় এবং চিন্তা মুক্ত থাকার ইসলামিক নির্দেশনা সম্পর্কে। আমরা আশা করছি আপনারা এই আর্টিকেলটি অনেক সুন্দর ভাবে মনোযোগ সহকারে পড়েছেন এবং বুঝতে পেরেছেন। এর পরও যদি কোন সমস্যা মনে হয়ে থাকে অবশ্যই আমাদের কমেন্ট বক্সে জানাবেন। আমরা সমাধান করার চেষ্টা করব ইনশাআল্লাহ। এমন আরো পোস্ট পেতে আমাদের পেজটি নিয়মিত ভিজিট করুন ভালো লাগলে বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন । ধন্যবাদ