আজ আমি এই আর্টিকেলে গর্ভবতী মায়ের করনীয় এবং গর্ভাবস্থায় বমি হলে কি করবেন এ বিষয়ে আপনাদের সঙ্গে আলোচনা করব আশা করি আপনারা উপকৃত হবেন। আপনি যদি পরিষ্কারভাবে না জানেন গর্ভাবস্থায় মায়ের যত্ন কিভাবে নিতে হয় তবে এই আর্টিকেলটি আপনার বেশ উপকারে আসবে। আপনি যখন জানবেন গর্ভ অবস্থায় মায়ের যত্ন এবং বমি হলে করণীয় কি তখন নিজে থেকেই ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারবেন ।
গর্ভবতী মায়ের যত্ন এবং গর্ভাবস্থায় বমি হলে কি করবেন এ বিষয়ে জানতে হলে আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে করুন পড়ুন। তাহলে চলুন দেরি না করে গর্ভবতি মায়ের যত্ন এবং বমি হলে কি করবেন এ বিষয় নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা শুরু করি।
গর্ভবতী মায়ের করনীয় ও যত্ন
গর্ভবতী মায়ের করনীয় ও যত্ন সম্পর্কে আমি জানবো। মেয়েদের জীবনের সবথেকে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ একটি সময় সেটি হল যখন কোন মেয়ে প্রেগন্যান্ট হয়। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই দেখা যায় গর্ভবতী হবার পরেও সঠিক যত্ন না নেয়ার ফলে ডেলিভারির সময় নানান সমস্যা দেখা দেয় । বেশিরভাগ ক্ষেত্রে একটি ঘটে গ্রাম অঞ্চলে। কারণ গ্রাম অঞ্চলের মানুষ একটু বেশি বুদ্ধিমান হয়। তবে সেই বুদ্ধিমান হওয়াটা গর্ভবতী মায়ের জন্য আরও বিপদ ডেকে আনে। কারণ গ্রামের মানুষ গুলো খুব এক রোক্ষা হয়। তারা বিশেষজ্ঞদের কোন কথাই মানতে চান না বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই। তাই বিপদ ও ঘটে অনেক বেশি। সকল বুদ্ধিমান মানুষদের থেকে আমাদের গর্ভবতী মায়েদের দূরে রাখতে হবে। এবং বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ মত চলতে হবে।
করনীয় ও যত্ন
খাবার
গর্ভবতী মায়ের যত্নের প্রথম স্টেপে পড়বে খাবারের গুরুত্ব। গর্ভবতী মায়ের জন্য দরকার প্রচুর পরিমাণ সুষম খাদ্য। এতে করে প্রয়োজনীয় পুষ্টি নিষেধ ও খাদ্য ঘাটতি দূর করা সম্ভব। গর্ভাবস্থায় পর্যাপ্ত পরিমাণে মাছ , মাংস , ডিম দুধ আমিষ জাতীয় খাবার খেতে হবে। মৌসুমী ফল ও সবুজ শাকসবজি খেতে হবে । বিষেশ করে আনার খেতে হবে অনেক বেশি কারণ আনারে প্রচুর পরিমানে আয়রণ রয়েছে । এছাড়াও কলার মোচা খেতে পারে। রঙিন ফলমূল এবং শাকসবজির ক্ষেত্রে অবশ্যই বাজার থেকে কিনে আনার পর আধা ঘন্টা পানির মধ্যে ভিজিয়ে খেলে ফরমালিনের ঝুঁকি এড়ানো সম্ভব। এ সময়ে প্রচুর পরিমাণ বিশুদ্ধ পানি পান করতে হবে। ভালো করে খেয়াল করবেন বিশুদ্ধ পানি অর্থাৎ আর্সেনিকযুক্ত বা আয়রন এবং ব্যাকটেরিয়া যুক্ত পানি থেকে বিরত থাকবেন।
ডাবের পানি খেতে হবে প্রচুর পরিমাণ। কারণ ডাবের পানিতে রয়েছে পটাসিয়ামে ভরপুর, ফলে গর্ভের বাচ্চার পটাসিয়ামের অভাব হয় না। অতিরিক্ত ডাব খাওয়ার ফলে বাচ্চার জন্মের সময় বাচ্চার শরীরে কোনো প্রকার ময়লা থাকে না । যদি সম্ভব হয় তবে প্রতিদিন একটি করে ডাব খান।যদি সম্ভব না হয় তবে সপ্তাহে অন্তত ২-৩ দিন ডাব খান। এতে ভালো ফলাফল পাবেন ইনশাআল্লাহ। অনেকেই বলে গর্ভাবস্থায় ডাব খেলে নাকি বাচ্চার চোখ কয়রা হয়। এইসব কথায় একদম কান দিবেন না ।
একজন গর্ভবতী মায়ের গর্ভ অবস্থা কালীন সময়ে প্রথম দুই থেকে তিন মাস ও শেষের তিন মাস অতিরিক্ত পরিশ্রম না করে হালকা হাঁটাচলা করা উচিত। তবে ভারী জিনিস বহন করা বা তোলা বা নিয়ে যাওয়া। খেয়াল রাখতে হবে পিচ্ছিল স্থানে হাঁটাচলা করা যাবে না। সিঁড়িবেয়ে উপরে ওঠার সময় খুব সতর্কতা সহিত সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে।
গর্ভাবস্থায় মায়ের পরিধেয়
গর্ভবতী মায়ের অবশ্যই পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন থাকতে হবে সব সময় আরামদায়ক পোশাক পরিধান করতে হবে যেগুলো সহজে পরিধানযোগ্য ও ঢিলেঢালা পোশাক হবে। সঠিক মাপের এবং নরম জুতা পরিধান করতে হবে এক্ষেত্রে অবশ্যই হিল পরিহার করতে হবে।
গর্ভাবস্থায় মায়ের ঘুম
গর্ভবতী অবস্থায় একজন মায়ের পর্যাপ্ত ঘুমের প্রয়োজনীয়তা অনেক। এ সময়ে দিনে অন্তত দুই থেকে আড়াই ঘন্টা এবং রাতে আট থেকে সাড়ে ৮ ঘণ্টা ঘুমাতে হবে। এবং বাম কাতে ঘুমানো উত্তম বিশেষজ্ঞরা এমনটাই বলেছেন এতে বাচ্চার শ্বাস-প্রশ্বাসে বিঘ্ন ঘটে না।
গর্ভাবস্থায় মায়ের ভ্রমন
গর্ভাবস্থায় প্রথম তিন মাস এবং শেষের তিন মাস দীর্ঘ ভমন না করায় ভালো। বা কোন ভাঙ্গা রাস্তা উঁচু নিচু রাস্তায় যেখানে ঝাঁকির আশঙ্কা থাকে এমন রাস্তায় ভবন করা থেকে একেবারেই বিরত থাকুন। কেননা এটি স্বাস্থ্যের জন্য অনেক ক্ষতিকর। তবে গর্ভাবস্থায় একজন মায়ের ভ্রমণ প্রয়োজন সেটা হতে পারে কাছের কোন জায়গায় যেমন পার্ক মনোরম পরিবেশ ,ফুলের বাগান , নদীর ধার ইত্যাদি। এমন জায়গায় ঘুরাঘুরি করলে মন প্রফুল্ল থাকে এবং বাচ্চার অক্সিজেনের মাত্রা ঠিক থাকে।
গর্ভাবস্থায় বমি হলে কার্যকরী কিছু টিপস
গর্ভবতী অবস্থায় বমি হলে কি করবেন ? গর্ভাবস্থায় প্রায় ৭০ থেকে ৮০ ভাগ মহিলাদের বমি বমি ভাব হয় খাবারে অরুচি হয় এমন কি পানি খেলেও সেটা বমি হয়ে বের হয়ে যায়।গর্ভাবস্থায় একটা মায়ের শরীরের যখন হরমোনের পরিবর্তন আসে তখন বিভিন্ন রকমের সমস্যা দেখা । তবে গর্ভাবস্থায় হরমোনাল সমস্যা এটা খুবই স্বাভাবিক একটা ব্যাপার । মায়ের শরীরের হরমোনাল পরিবর্তন গর্ভের বাচ্চার সুস্থতা ও ভালোভাবে বেড়ে ওঠার জন্যই হয়।
গর্ভাবস্থায় বমি নিয়ন্ত্রণ করতে গেলে কিছু দিক ফলো করতে হবে যেমন সকালে ঘুম থেকে ওঠার সাথে সাথে বিছানার ত্যাগ করা যাবে না । কয়েক মিনিট সময় নিতে হবে এবং বিছানার ওপরেই হালকা ব্যায়াম করতে হবে। ফ্রেশ হবার পরে প্রথমেই ভারী কোন খাবার গ্রহণ করা যাবেনা। হালকা নাস্তা দিয়ে শুরু করুন যেমন লিকার ছাড়া চা গ্রিন টি হলে সব থেকে ভালো হয়। গ্রিন টি শরীরের জন্য উপকারী। এর সাথে ভালো বিস্কুট অথবা মুড়ি খেতে পারেন । গর্ভ অবস্থায় বমি নিয়ন্ত্রণ করতে আরো কিছু দিক ফলো করতে পারেন । অতিরিক্ত চর্বি বা মসলাযুক্ত খাবার টক জাতীয় খাবার ঝাল জাতীয় খাবার বমি বৃদ্ধির কারণ হতে পারে। এসব খাবার এড়িয়ে চলুন।
বমি নিয়ন্ত্রণ করতে হলে খাবারের দিকেও খেয়াল করতে হবে যেমন, একসাথে বেশি করে খাবার খাবেন না , বরং দুই ঘন্টা পর পর অল্প অল্প করে খেতে পারেন। ভোরের হাওয়া উপভোগ করুন ভোরের হাওয়াতে হাটাহাটি করুন দেখবেন বমির ভাব কম হবে মন প্রফুল্ল থাকবে। এরপরেও যদি বমি বমি ভাব হয় তবে চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী ঔষধ সেবন করতে পারেন ।
গর্ভবতী হওয়ার কতদিন পর বমি হয়
সাধারণত মাসিক বন্ধের পরে থেকেই নব্বই শতাংশ মহিলাদের বমি শুরু হয়। এটি সাধারণত প্রথম তিন মাস বেশি থাকে। কোন কিছুই খেতে পারে না খেলেই বমি হয়ে যায় মুখে অরুচি ভাব থাকে মাথা ঘুরায় শরীর দুর্বল হয়ে পড়ে এগুলো খুবই স্বাভাবিক বিষয়। তবে বমির পরিমাণ যদি বেশি হয় অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে।
বমির পরিমাণ বেশি হবার ফলে আপনি যদি কিছু খেতে না পারেন তাহলে আপনার সাথে সাথে আপনার গর্ভের বাচ্চার ও ক্ষতি হতে পারে। বমি হবার সময় পেটে প্রচুর পরিমাণ চাপ সৃষ্টি হয় কাজেই বেশি বেশি বমি হলে কি হতে পারে এটা নিশ্চয়ই বুঝতে পারছেন।
অতিরিক্ত বমি হবার ফলে খাবার গ্রহণ করতে না পারলে ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হতে হবে। মুখে খেতে না পারলে স্যালাইন নিতে হবে। এভাবে আপনি গর্ভ অবস্থায় বমি হলে ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী ভূমিকম্প করতে পারেন। ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া কোন ঔষধ সেবন করবেন না। ফলে হিতেবিপরীত হতে পারে। ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে প্রথম তিন মাস পার করুন এরপরে আস্তে আস্তে আপনার রুচি ফিরে আসতে শুরু করবে এবং আপনার শারীরিক দুর্বলতা কমে যাবে ফলে স্বাভাবিক হতে শুরু করবেন।
প্রেগন্যান্ট হওয়ার প্রথম মাসের লক্ষণ
গর্ভবতী হওয়ার প্রথম মাসের লক্ষণ বিশেষজ্ঞরা পিরিয়ডের প্রথম দিন থেকে পরবর্তী 40 সপ্তাহকে গর্ভধারণের সময় ধরে থাকেন। মূলত প্রথম সপ্তাহের দিন থেকে কেউ কনসিভ করেছে কিনা এটা বলা সম্ভব নয় কারণ গর্ভধারণ সাধারণত দুই সপ্তাহ থেকে তিন সপ্তাহ পর বোঝা যায়। যদি তিন সপ্তাহ পরে বা চার সপ্তাহ পরে আপনার ডেট অনুযায়ী মাসিক না হয় বা শরীর ভার হয়ে যায় দুর্বল হয়ে যায় খাবারের অরুচি ভাব চলে আসে তবে আপনি প্রাথমিক অবস্থায় প্রেগনেন্সি কিট ব্যবহার করতে পারেন এবং নিশ্চিত করতে পারেন আপনি গর্ভবতী কিনা।
কিট ব্যাবহার করার নিয়মঃ যে কোন ফার্মেসি থেকে একটা উন্নত মানের ডিজিটাল প্রেগনেন্সি টেস্ট কাটি নিবেন। সব থেকে ভালো ফলাফল পেতে সকালের প্রথম প্রস্রাব দিয়ে টেস্ট করার চেষ্টা করবেন। তাহলে রেজাল্ট টা ভালো পাবেন।
আপনি একটি ড্রপে প্রথমে তিন ফোঁটা প্রস্রাব নিন, এরপরে কাঠির উপরে তিন ফোঁটা প্রস্রাব দিন। কয়েক সেকেন্ড অপেক্ষা করুন যদি ডাবল রেড সাইন আসে তবে আপনি প্রেগন্যান্ট বলে নিশ্চিত হবে না। যদি একটি দাগ পুরোপুরি লাল দেখায় এবং পাশেরটা হালকা লাল দেখায় তবেও আপনি প্রেগন্যান্ট হিসেবে নিশ্চিত হবেন।
এছাড়াও আরো কিছু লক্ষণের আবির্ভাব ঘটে সেগুলো হল কারো কারো ক্ষেত্রে দুর্বল লাগতে পারে , ঘন ঘন প্রস্রাবের ভাব আসতে পারে, মাথা ঘুরাতে পারে , স্তনের বোটায় খোঁচা এবং স্তন ফুলে যাওয়া ও ভারি হওয়া ভাব আসতে পারে , ঘুম ঘুম ভাব হতে পারে বা খাবারের গন্ধ লাগতে পারে ইত্যাদি। আর্টিকেলটি পড়ে আপনি নিশ্চয়ই বুঝতে পেরেছেন আপনি কিভাবে নিশ্চিত করবেন প্রথম মাসে আপনি গর্ভবতী কিনা।
গর্ভাবস্থায় মায়ের শেষ তিন মাসের সতর্কতা
একজন গর্ভাবতী মায়ের জন্য শেষ তিন মাসের সতর্কতা সারাজীবনের সতর্কতার থেকেও অনেক বেশী গুরুত্বপূর্ণ একটি মুহুর্ত । আবার শেষ তিন মাসও খুবই ঝুকিপূর্ণ তাই মাকে শেষ তিন মাসে খুব সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে। একটা ভুল মা ও শিশুর জন্য ডেকে আনতে পারে ঘোর বিপদ, তাই খুব সাবধান।
মায়ের ওজনের দিকে খেয়াল রাখতে হবে, যেন ওজন নিয়ন্ত্রণ থাকে। মুলত ৫ মাস থেকেই বাচ্চার নড়াচড়া অনুভব করা যায়, সেক্ষেত্রে এই সময় বাচ্চার নড়াচড়া কাউন্ট করতে হবে দিনে মিনিমাম ১০ বার নড়ছে কিনা খেয়াল রাখতে হবে।
পেটে চাপ লাগলে বাচ্চার ক্ষতি হবে এটাই স্বাভাবিক, তাই শেষ তিন মাসে পেটে চাপ লাগে এমন কোন ওজন বহন করবেন না।
হাঁটা চলার ক্ষেত্রে খুব সাবধানতা অবলম্বন করবেন, পাতলা নরম জুতা ব্যবহার করবেন এবং পিচ্ছিল জায়গা এড়িয়ে চলবেন, বাথরুমে যাবার ক্ষেত্রে খুব সাবধান থাকবেন কারণ বাথরুম বেশিরভাগ সময় পিচ্ছিল থাকে। তবে চেষ্টা করবেন বাথরুমের ফ্লোর সব সময় শুকনা রাখার।
সব সময় ডাক্তারের চেকআপের মধ্যে থাকবেন। যেকোন সমস্যা মনে হলেই ডাক্তারের শরণাপন্ন হবেন মানুষের কথায় কান দেবেন না।
নিয়মিত খাবার খাবেন অতিরিক্ত খাবার না খাওয়াই ভালো। ঘুমের সময় বাম কাতে ঘুমানোর চেষ্টা করুন এতে বাচ্চার অক্সিজেনের ঘাটতি হয় না। আয়রন জাতীয় ফলমূল এবং শাকসবজি বেশি বেশি খাবেন। নিয়মিত ডাক্তারের চেকআপে থাকুন দূরের জার্নি পরিহার করুন।
গর্ভাবস্থায় মায়ের করনীয় ও যত্ন এর শেষ কথা
প্রিয় বন্ধুগণ পরিশেষে এ কথা বলে শেষ করব যে গর্ভবতী মায়ের যত্ন পরিবারের সবাইকে একসাথে নিতে হবে। হবেই একটি সুস্থ সন্তানের আশা করা সম্ভব। এই আর্টিকেলে আমি গর্ভবতী মায়ের করনীয় যত্ন ও বমি কেন হয় এবং পাশাপাশি আরো অন্যান্য বিষয় নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করার চেষ্টা করেছি। আশা করছি আপনারা আর্টিকেলটি পড়ে উপকৃত হয়েছেন
আর্টিকেলটি পড়ে যদি আপনার ভালো লেগে থাকে তাহলে অবশ্যই অন্যদের শেয়ার করতে ভুলবেন না যদি কোন মন্তব্য থেকে থাকে কমেন্ট বক্সে জানিয়ে দিবেন । ধন্যবাদ