আপনি এখানে আসা দেখেই বুঝতে পেরেছি টেনশনের শারীরিক লক্ষণ সম্পর্কে জানতে আপনি আগ্রহী। কিংবা আপনি টেনশনের শারীরিক লক্ষণ সম্পর্কে তেমন কিছুই জানেন না। তাহলে চিন্তা করার কোনো কারণ নেই আজকে আমি আপনাকে খুব সুন্দর করে টেনশনের শারীরিক লক্ষণ সম্পর্কে বুঝিয়ে বলব।
মানুষ যেহেতু চিন্তাশীল প্রাণী সেক্ষেত্রে মানুষের টেনশন হবে এটাই স্বাভাবিক। কিন্তু আমরা অনেকে টেনশন করতে গিয়ে নিজের শরীর খারাপ করে ফেলি। তাই টেনশনের শারীরিক লক্ষণ গুলো জানা থাকলে আমরা খুব সহজেই বুঝতে পারবো যে আমাদের শরীরে কি হতে চলেছে। তো চলুন টেনশনের শারীরিক লক্ষণগুলো নিয়ে আলোচনা করা যাক।
পেজ সূচিপত্রঃ
- মানুষের টেনশন কেন হয়
- টেনশন কিভাবে মানুষের স্মৃতিশক্তি কমায়
- টেনশনের শারীরিক লক্ষণ
- টেনশন কিভাবে মানুষের দৈনিন্দন চলাফেরার গতি কমায়
- টেনশন থেকে দূরে থাকার সঠিক চিকিৎসা কি
মানুষের টেনশন কেন হয়
মানুষের টেনশন কেন হয় এ বিষয়ে সম্পর্কে কি আপনি জানেন ? তবে এ বিষয় সম্পর্কে আলোচনা করতে গেলেই প্রথমে আমাদের মাথায় যেটি আসে সেটি হচ্ছে মানুষের মস্তিষ্কে টেনশন আসার সবচেয়ে বড় কারণ সেটি হচ্ছে মানুষ চিন্তাশীল প্রাণী। এবং মানুষকে আল্লাহ তাআলা চিন্তাশীল প্রাণী হিসেবে সৃষ্টি করেছেন। যার কারণে মানুষ ভাবনার মধ্যে লিপ্ত থাকতে পারে। আর এভাবেই মানুষের মাঝে টেনশনের উদয় হয়।
এখন হয়তো ভাবছেন যে মানুষ ব্যতীত অন্য কোন প্রাণীর কি টেনশন হয় না? সেক্ষেত্রে যে সঠিক ধারণাটি আপনাকে দিব সেটি হচ্ছে পৃথিবীতে মানুষকে আল্লাহ সৃষ্টির সেরা জীব হিসেবে তৈরি করেছেন। তাই মানুষের দৈনন্দন কর্মকান্ড ও ব্যস্ততার পরিপ্রেক্ষিতে নিজেরাই একা একা চিন্তা করতে পারেন এবং বিভিন্ন সিদ্ধান্ত নিতে পারেন। আর এ সকল চিন্তা ও সিদ্ধান্ত যদি বিপদে যায় তবে মানুষের মস্তিষ্কে চিন্তা বা টেনশন এর আবির্ভূত হয়।
টেনশন কিভাবে মানুষের স্মৃতিশক্তি কমায়
টেনশন সম্পর্কে আমরা একটি খসড়া ধারণা পেলাম উপরোক্ত অংশটি পড়ার মাধ্যমে। এখন আমি আপনাদের একটি গুরুত্বপূর্ণ তথ্য জানানোর চেষ্টা করব যে টেনশন কিভাবে মানুষের স্মৃতিশক্তি হ্রাস করে বা কমিয়ে ফেলে। আমরা যখন কোন একটি বিষয় নিয়ে অস্বাভাবিকভাবে মগ্ন থাকি সেটির মাঝেই টেনশনের উদয় ঘটতে থাকে। এবং সেই চিন্তাগুলো অস্বাভাবিক হওয়ার কারণে আমাদের মস্তিষ্কের কোষগুলো দিন দিন ড্যামেজ হতে থাকে।
আর অতিরিক্ত ও অস্বাভাবিক এই চিন্তা টেনশন করার ফলে মানুষের মস্তিষ্কের কোষ ড্যামেজ হয় দিন দিন তার স্মৃতিশক্তি হারিয়ে ফেলে। যার প্রভাবে মানুষ নিজের নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলে এবং সঠিক ডিসিশন বা সিদ্ধান্ত অল্প সময় নিতে অক্ষম হয়ে পড়ে। আর এভাবেই একটি মানুষের দিন দিন স্মৃতিশক্তি লোপ পেতে থাকে। আর টেনশনের শারীরিক লক্ষণগুলো জানার জন্য নিচের অংশটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন।
টেনশনের শারীরিক লক্ষণ
এ পর্যায়ে এখন আমরা জানার চেষ্টা করব টেনশনের শারীরিক লক্ষণ গুলো সম্পর্কে। তো চলুন টেনশনে শারীরিক লক্ষণ গুলো সম্পর্কে আলোচনা করা যাক।
- টেনশনের শারীরিক লক্ষণের মধ্যে অন্যতম যে লক্ষণ রয়েছে সেটি হচ্ছে ঘন ঘন ক্লান্তি বোধ করা।
- এছাড়া আপনি যদি টেনশনে থাকেন তাহলে টেনশনের শারীরিক লক্ষণ হিসেবে আপনার পেট ব্যথা করতে পারে।
- আর যেহেতু আপনি টেনশনে থাকবেন সেহেতু আপনার রক্ত চলাচল স্বাভাবিকের তুলনায় বেশি হতে থাকবে যার কারণে আপনার বুকে ব্যথা হতে পারে।
- আর টেনশনে থাকার ফলে আপনার ঘুমের সমস্যা হবে যার কারণে আপনি শারীরিকভাবে অসুস্থ হতে পারেন।
- টেনশনে সারির লক্ষণ গুলোর মধ্যে সবচেয়ে নেতিবাচক লক্ষণ হচ্ছে মেজাজ খারাপ থাকা যার কারণে আপনি শারীরিকভাবে আপনার নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলতে পারেন।
- অতিরিক্ত টেনশনের ফলে স্মৃতিশক্তি হ্রাস এর মত ভয়ানক ঘটনা ঘটতে পারে আপনার সাথে। যার কারণে আপনি শারীরিকভাবে নিজের ভারসাম্য হারিয়ে ফেলতে পারেন। টেনশনের শারীরিক লক্ষণ গুলোর মধ্যে এগুলোই বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য।
টেনশন কিভাবে মানুষের দৈনিন্দন চলাফেরার গতি কমায়
টেনশন এর শারীরিক লক্ষণ গুলো সম্পর্কে অবগত হয়েছেন যার কারনে এখন আমরা জানার চেষ্টা করব যে টেনশন কিভাবে মানুষের দৈনন্দন চলাফেরার গতি কমিয়ে আনে। এবং আপনার ইচ্ছা থাকা সত্ত্বেও যতোটুকু কাজ করতে চান ততটুকু কাজ সময়ের সাথে করতে পারেন না। মানসিকভাবে টেনশনে থাকার কারণে আপনি সেই কাজগুলো করতে শারীরিক ও মানসিকভাবে প্রস্তুত থাকেন না।
যার কারণে প্রতিদিনের কাজ প্রতিদিন না করায় কাজগুলো জমা হতে থাকে এবং নিজের জীবনের গতি কমতে থাকে। আর এর থেকে পরিত্রাণের জন্য সব সময় টেনশন থেকে নিজেকে দূরে রাখতে হবে। নয়তো আমাদের দৈনিন্দন চলাফেরার গতি কমতে কমতে এমন পর্যায়ে পৌঁছাবে যার ফলে আমাদের ভবিষ্যৎ অন্ধকারের দিকে ধাবিত হতে পারে।
টেনশন থেকে দূরে থাকার সঠিক চিকিৎসা কি
টেনশন থেকে দূরে থাকার সঠিক চিকিৎসা কি এ বিষয় সম্পর্কে এবং জানার চেষ্টা করব যে কিভাবে টেনশন থেকে দূরে থাকতে ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হয়। এখান থেকে দূরে থাকার জন্য বেশ কিছু পদ্ধতি আছে যেমন নিজের পছন্দের কাজ করা পরিবারের সাথে থাকা এর পাশাপাশি ভ্রমণ করা ইত্যাদি।
তবে এ সকল বিষয়গুলো অবলম্বন করার পর যদি আপনি নিজেকে ফ্রি করতে না পারেন। কিংবা আপনি যদি দুশ্চিন্তা থেকে মুক্ত হতে না পারেন তাহলে সে ক্ষেত্রে আপনার নিকটস্থ কোনো মানসিক বিশেষজ্ঞ কোন ডাক্তারের সাহায্য নিতে পারেন। আশা করছি টেনশনের শারীরিক লক্ষণ সম্পর্কে ও টেনশন বিষয়ে আরো অজানা তথ্য সম্পর্কে আপনি জানতে পেরেছেন। তাই পোস্টটি শেয়ার করতে কখনোই ভুলবেন না ধন্যবাদ job id – 26205।