সাতক্ষীরা জেলার বিখ্যাত মুক্তিযোদ্ধা

প্রিয় পাঠক আপনারা কি সাতক্ষীরা জেলার বিখ্যাত মুক্তিযোদ্ধা সম্পর্কে জানতে চাচ্ছেন। তাহলে সমস্যা নেই কারণ এই আর্টিকেল থেকে সাতক্ষীরা জেলার বিখ্যাত মুক্তিযোদ্ধা সম্পর্কে এবং সাতক্ষীরার খেতাবপ্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধা সম্পর্কে জানতে পারবেন। তাহলে চলুন দেরি না করে সাতক্ষীরা জেলার বিখ্যাত মুক্তিযোদ্ধা সম্পর্কে জেনে নেই।
সাতক্ষীরা জেলার বিখ্যাত মুক্তিযোদ্ধা
আপনারা যদি সাতক্ষীরা জেলার বিখ্যাত মুক্তিযোদ্ধা এবং সাতক্ষীরার খেতাবপ্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধা সম্পর্কে সকল তথ্য বিস্তারিতভাবে জানতে চান তাহলে এই আর্টিকেলটি মনোযোগ সহ পড়ুন।

পোস্ট সূচিপত্রঃ সাতক্ষীরা জেলার বিখ্যাত মুক্তিযোদ্ধা

ভূমিকা

আমাদের বাংলাদেশ ১৯৭১ সালে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করেছিল। সেই মুক্তিযুদ্ধ ছিল দীর্ঘ নয় মাস যাবত এই যুদ্ধে পুরো বিশ্বের ভেতরে খুবই লাঞ্ছনা জনক ছিল। কারণ পাকিস্তানেররা এই যুদ্ধে বাংলাদেশের সকল ধনসম্পদ লুট করে নেয় এবং অনেক নারীদের ধর্ষণ ও নির্যাতন করে মেরে ফেলেছে। যুদ্ধের সময় কম হলেও এই যুদ্ধে মানুষের মৃত্যুর সংখ্যা অনেক প্রায় ৩০ লক্ষ মানুষ এই যুদ্ধে শহীদ হন। এই যুদ্ধকে ঠেকানোর জন্য অনেক যুবক এবং অনেক বিখ্যাত পরিবার থেকে ছেলেরা দেশকে এবং দেশের মানুষকে রক্ষা করার জন্য মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করে।

আর এদেরকে মুক্তিযোদ্ধা বলা হয়। পুরো বাংলাদেশ থেকে প্রতিটি জেলা থেকে অনেক মুক্তিযোদ্ধা যুদ্ধ করতে আসে। সে রকমই সাতক্ষীরা জেলা থেকে অনেক মুক্তিযোদ্ধা নেমে আসে। এদের মধ্যে কেউ ছিল কৃষক কেউ ছিল চাকরিজীবী কেউ ছিল ছাত্র এবং কেউ বিখ্যাত পরিবারের ছিল এবং কেউ বিখ্যাত ব্যক্তিবর্গ ছিল। আপনারা সকলে জানতে চাচ্ছেন সাতক্ষীরা জেলার বিখ্যাত মুক্তিযোদ্ধা সম্পর্কে। সাতক্ষীরা জেলার অনেক বিখ্যাত মুক্তিযোদ্ধা রয়েছে।

আরো পড়ুনঃ ঘরে বসে মেয়েদের ৩০ টি উপায় আয় করার সুযোগ জানুন

আপনারা যদি সাতক্ষীরা জেলা সম্পর্কে বিস্তারিত ভাবে জানতে চান তাহলে আপনাদেরকে আমাদের এই আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়তে হবে তাহলে আপনারা জানতে পারবেন সাতক্ষীরা জেলার বিখ্যাত মুক্তিযোদ্ধা সম্পর্কে।

সাতক্ষীরার খেতাবপ্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধা

সাতক্ষীরার খেতাবপ্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধা হচ্ছে আবু তালেব। তিনি ১৯৭১ সালে ইপিয়ারে চাকরি করতেন। মুক্তিযুদ্ধের সময় আবু তালেব সাতক্ষীরার ভোমরা উপজেলার বিওপিতে সিপাহী পদে যুক্ত ছিলেন। ২৫ শে মার্চ গণহত্যার পর পাকিস্তান বাহিনীর বিরুদ্ধে সাতক্ষীরাতে তীব্র প্রতিরোধ যুদ্ধ গড়ে ওঠে। ২৯ শে এপ্রিল মুক্তিযুদ্ধে যোগ দিতে ইচ্ছুক ছিলেন প্রায় ৩০ থেকে ৪০ জন তরুণ মুক্তিযোদ্ধারা সেখানে আবু তালেব প্রশিক্ষণ নিচ্ছিলেন। এবং সেই দিনে ঠিক সকাল দশটার দিকে হানাদার বাহিনীরা তাদের উপরে আক্রমণ করে। এবং তখন সিপাহী আবু তালেবসহ ইপিয়ারের সকল সেনা গণেরা তীব্র প্রতিরোধ করে তাদের উপরে।

এবং সেই প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত তরুণ মুক্তিযোদ্ধারাও আবু তালেব এবং ইপিআর সেনাবাহিনীর সঙ্গে যোগ দেন পাকিস্তানি বাহিনীদের সঙ্গে মুক্তিবাহিনীদের প্রায় দুই ঘন্টা যাবত সংঘর্ষ চলতে থাকে। এমন এক পর্যায়ে চলে আসে যে পর্যায়ে আবু তালেব এর সঙ্গে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীরা টিকতে না পেরে সাতক্ষীরার ভোমরা অঞ্চল ছেড়ে তারা চলে যেতে বাধ্য হয়। এবং সে সময় শহীদ হন এক মুক্তিযোদ্ধা তার নাম ছিল ইফু মিয়া।

এইজন্য আবু তালেবকে সাতক্ষীরার খেতাবপ্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধা বলা হয়। তিনি ছিলেন খুবই সাহসী এবং শট মুক্তিযোদ্ধা যার জন্য পাকিস্তানি বাহিনীরা সেই দিন সাতক্ষীরার ভোমরা অঞ্চল ছেড়ে পালাতে বাধ্য হয়।

মুক্তিযুদ্ধে সাতক্ষীরা কত নম্বর সেক্টরে ছিল

সাতটি থানা নিয়ে যশোর জেলার অধীনে ১৮৬১ সালে সাতক্ষীরা জেলা প্রতিষ্ঠিত হয়। পরবর্তীতে ভারতের পশ্চিমবঙ্গের ২৪ পরগনা বিভাগের অধীনে ১৮৬৩ এই সাতক্ষীরা জেলাটি চলে যায় এবং পরবর্তীতে ১৮৮২ সালে খুলনা বিভাগ প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পরে এই সাতক্ষীরা জেলাটি খুলনা বিভাগে অন্তর্ভুক্ত হয়। ব্রিটিশ শাসন পরে ভারত বর্ষকে দুই ভাগে ভাগ করে দিয়ে যায় একটি হলো ভারত অন্যটি হচ্ছে পাকিস্তান এবং ১৯৪৮ সালের দিকে পাকিস্তান দুই ভাগে বিভক্ত হয় এক হচ্ছে পশ্চিম পাকিস্তান এবং আরেকটি পূর্ব পাকিস্তান। অর্থাৎ একটি বাংলাদেশ আরেকটি পাকিস্তান।

আরো পড়ুনঃ ইউটিউবে মার্কেটিং নিয়ে কাজ করার আগে ১০টি উপায় জানুন

তৎকালীন সময়ে পাকিস্তানের শাসন ছিল এই বাংলাদেশ তাদের বিরুদ্ধে কথা বলার কোন ক্ষমতা ছিল না বাংলাদেশের তারা আস্তে আস্তে ক্ষমতা বিস্তার করতে শুরু করে এবং আমাদের বাংলা ভাষা কেড়ে নিতে চাই। সে সময় বাংলার সকল জনগণেরা পাকিস্তানের ওপর ক্ষেপে ওঠে এবং ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধ শুরু হয় পাকিস্তানের বিরুদ্ধে বাংলাদেশের। সেসময় বাংলাদেশের সরকার প্রতিটি জেলাকে প্রতিটি সেক্টরে ভাগ করে দেয়। যাতে করে তারা পাকিস্তানের হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে লড়াই করতে সুবিধা হয় এবং তাদেরকে পরাজিত করতে পারা যায়।

সেজন্য সাতক্ষীরা জেলাকেও সেক্টরে ভাগ করা হয়। এবং এই সেক্টরগুলোতে অর্থাৎ প্রতিটি সেক্টরে একটি করে অধিনায়ক নিযুক্ত করা হয় মুক্তিযুদ্ধ পরিচালনা করার জন্য। বাংলাদেশের এই সাতক্ষীরা জেলাট.৮ ও ৯ নম্বর সেক্টরের অধীনে ছিল সাতক্ষীরা জেলা

সাতক্ষীরা জেলার বিখ্যাত মুক্তিযোদ্ধা

বাংলাদেশের ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে পাকিস্তান হানাদার বাহিনীরা বাংলাদেশকে লুটপাট করে এবং অনেক নারীদের ধর্ষণ এবং নির্যাতন করে। এদেরকে রুখতে বাংলাদেশের জনগণেরা মাথা ছেড়ে দাঁড়ায় এবং মুক্তিযুদ্ধে নেমে পড়ে। এ সময় প্রতিটি জেলাতে ছিল পাকিস্তান হানাদার বাহিনীর লুটপাট ও হত্যাকান্ড কার্যক্রম চালু ছিল। তাদেরকে পরাজিত করতে এবং তাদের নিজেদের দেশকে স্বাধীন করার জন্য প্রতিটি জেলা থেকে অনেক মুক্তিযোদ্ধারা যুদ্ধে নেমে আসে।

সাতক্ষীরা জেলা থেকে অনেক সাধারণ মুক্তিযোদ্ধা এবং বিখ্যাত মুক্তিযোদ্ধারা যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ে তাদের দেশকে এবং দেশের জনগণকে রক্ষা করার জন্য এবং পাকিস্তান হানাদার বাহিনীকে পরাজিত করার জন্য।

আমির হোসেন জোইয়ার্দ্দার। তার পিতার নাম হচ্ছে মৃত হাজির উদ্দিন জোইয়ার্দ্দার তিনি সাতক্ষীরা জেলার আশাশুনি উপজেলার মাড়িয়ালা গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ছিলেন ডেপুটি ইউনিট কমান্ডার।

মোঃ আব্দুর বারি। তার পিতার নাম মৃত মহাতাব উদ্দিন। তিনি সাতক্ষীরা জেলার নারাণজোল গ্রামে সাতক্ষীরা উপজেলায় জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ছিলেন সহকারে ইউনিট কমান্ডার তথ্য গবেষক।

মোঃ মোশাররফ হোসেন। তাঁর পিতার নাম ছিল মোহাম্মদ লুৎফর রহমান সরদার তিনি সাতক্ষীরা জেলার দেবহাটা উপজেলার পারম্নলিয়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ছিলেন জেলা ইউনিট কমান্ডার।

আবু বকর সিদ্দীক। তার পিতা মৃত আব্দুর সোবহান গাজী। তিনি সাতক্ষীরা জেলার সাতক্ষীরা উপজেলায় হাজীপুর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ছিলেন একজন ডেপুটি ইউনিট কমান্ডার

আরো পড়ুনঃ মাসে লক্ষ টাকা ইনকাম করার সুযোগ দিয়েছে অর্ডিনারি আইটি জানুন

মোঃ আব্দুর রহমান। তার পিতার নাম হচ্ছে  মৃত আব্দুল মজিদ সরদার তিনি সাতক্ষীরা জেলার আশাশুনি উপজেলায় জন্মগ্রহণ করেন তিনি ছিলেন সহকারী ইউনিট কমান্ডার।

মোড়ল আব্দুর রশিদ। তার পিতা মৃত বশির উদ্দিন মোড়ল তিনি সাতক্ষীরা জেলার তালা উপজেলায় কৃষ্ণকাটি গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন তিনি ছিলেন সহকারী ইউনিট কমান্ডার ক্রীড়া বিভাগ।

মোঃ আবুল হোসেন। তার পিতার নাম হচ্ছে মৃত তকিম সরদার। তিনি সাতক্ষীরা জেলার কালিগঞ্জ উপজেলায় নলতা গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন তিনি ছিলেন একজন সহকারী ইউনিট কমান্ডার শ্রম ও জনশক্তি বিভাগ।

শেষ কথা

প্রিয় পাঠক আশা করা যায় যে আপনি সাতক্ষীরা জেলার বিখ্যাত মুক্তিযোদ্ধা সম্পর্কে যে তথ্যগুলো জানতে চেয়েছিলেন অবশ্যই সেটি আপনি আমাদের আর্টিকেল থেকে সুন্দরভাবে বিস্তারিত জানতে পেরেছেন। তবে আপনি যদি মনোযোগ সহকারে আটই কিন্তু না পড়ে থাকেন তাহলে হয়তো নাও জানতে পারেন। তবে যদি আপনি মনোযোগ সহকারে আর্টিকেলটি পড়েন তাহলে আপনি সাতক্ষীরার জেলার বিখ্যাত মুক্তিযোদ্ধা ছাড়াও সাতক্ষীরার খেতাবপ্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধা এদের সম্পর্কেও ধারণা পাবেন এবং যুদ্ধের সময় সাতক্ষীরা জেলাটি কত নম্বর সেক্টরের অধীনে ছিল এবং সাতক্ষীরা জেলার পারফরমেন্স কেমন ছিল যুদ্ধের সময় তাও জানতে পারবেন।@26224

Leave a Comment