ডিপ্রেশন থেকে মুক্তির হাদিস সম্পর্কে জানতে চান ? তাহলে আজকের এই আর্টিকেলটি আপনার জন্য। আমরা অনেক কারণেই দুশ্চিন্তা করে থাকি, আমরা অনেকেই দুশ্চিন্তার মধ্যে রোগে থাকে কিন্তু দুশ্চিন্তা থেকে দূর হওয়ার উপায় সম্পর্কে না জানার কারণে আরো দুশ্চিন্তার গভীরে ঢুকে যায়। এক্ষেত্রে আমাদের মুসলিম হিসেবে দুশ্চিন্তা দূর করার হাদিস সম্পর্কে জানা অত্যন্ত জরুরী। এই আর্টিকেলের দুশ্চিন্তা মুক্তির হাদিস সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হবে।
আপনি যদি ডিপ্রেশন থেকে মুক্তির হাদিস সম্পর্কে না জানেন তাহলে আজকের এই আর্টিকেলটি আপনার জন্যই। তাহলে চলুন আর দেরি না করে আমরা দুশ্চিন্তে থেকে মুখের হাদিস সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে জেনে নিই।
দুশ্চিন্তা দূর করার উপায়
ইসলামিক দৃষ্টিকোণ থেকে এমন কোন সমস্যা নেই যার সমাধান আল্লাহ তায়ালা ইসলামের মধ্যে রাখেননি। পৃথিবীর সকল বিষয়ের সমাধান আল্লাহপাক কোরআন এবং ইসলামে রেখেছেন। তারই ভিত্তি ধরে আজ আমরা দুশ্চিন্তা দূর করার উপায় সম্পর্কে জানবো। দুশ্চিন্তা আমাদের নিত্যদিনের সঙ্গী। আমরা সবাই আমাদের জীবনে দুশ্চিন্তা করে থাকি। কারণে হোক বা অকারণে দুশ্চিন্তা আমাদের পিছু ছাড়ে না। তাই দুশ্চিন্তা দূর করার জন্য অবশ্যই আমাদের হাদিস সম্পর্কে জানতে হবে।
কেন না রসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাদের দুশ্চিন্তা থেকে দূর করার জন্য অনেকগুলো হাদিস আমাদের মাঝে দিয়ে গেছেন যেগুলো ফলো করার মাধ্যমে আমরা ডিপ্রেশন থেকে মুক্ত হতে পারবো। তার পাশাপাশি আমাদের আল্লাহর কাছে দোয়া করতে হবে আল্লাহ তা’আলা যেন আমাদের সকল ডিপ্রেশন মুক্ত করে দেন।
আমরা প্রথমে দুশ্চিন্তা দূর করার উপায় সম্পর্কে জানবঃ
১। আমাদের প্রধান সমস্যা হচ্ছে আমরা যেকোনো বিষয় নিয়ে নিজে নিজেই চিন্তা ভাবনা করতে থাকি ফলে কোন উপায় খুঁজে না পাওয়ার কারণে আমাদের দুশ্চিন্তা মাথার উপরে ভর করে বসে। কাজেই আমাদের যেকোন পরামর্শ নেওয়ার আগে সকলের সাথে পরিবারের বা বাহিরের বা বন্ধু-বান্ধবদের সাথে পরামর্শ করে সিদ্ধান্ত নিতে হবে ফলে আপনার দুশ্চিন্তা কম হবে ।
২। আপনি যখন কোন বিষয় নিয়ে চিন্তিত থাকবেন তখন যদি আপনি বাসায় একা বসে থাকেন তখন আপনার চিন্তা আরও তীক্ষ্ণ হবে আটাই স্বাভাবিক। তাই আপনি যদি সম্পূর্ণ দোষ ছিল থেকে মুক্ত পেতে চান তাহলে অবশ্যই আপনাকে নিজের খালি সময়টুকু ব্যস্ত তাই পরিপূর্ণ করতে হবে। কারণ আমরা অবশ্যই শুনেছি যে খালি মস্তিষ্ক শয়তানের আড্ডাখানা ।
৩। আপনি যদি দুশ্চিন্তা থেকে মুক্ত হতে চান তাহলে অবশ্যই প্রতিদিন সকাল সকাল ঘুম থেকে উঠুন। ফজরের সালাত আদায় করে ঠান্ডা হাওয়ায় কিছুক্ষণ নিস্তব্ধ স্থানে যেখানে কোন সাড়াশব্দ নেই সেখানে ১৫ থেকে ২০ মিনিট মেডিটেশন করুন। এর ফলে আপনার দুশ্চিন্তা অনেকটাই কমে যাবে ।
৪। আপনার যদি অতিরিক্ত দুশ্চিন্ত হয় কোন বিষয় নিয়ে তাহলে অবশ্যই আপনাকে শারীরিক পরিশ্রম করতে হবে। যদি আপনি নিয়মিত শারীরিক পরিশ্রম এবং ব্যায়াম করতে পারেন তাহলে আপনার শরীরের রক্তচাপ বৃদ্ধি পাবে এর ফলে আপনার মস্তিষ্ক সতেজ থাকবে। তখন আপনি আপনার নির্দিষ্ট কাজে মনোযোগী হতে পারবেন।
৫। বন্ধুদের সাথে সময় কাটান আপনি যদি সব সময় খালি বাসায় বসে থাকেন আপনার কোন বন্ধু-বান্ধব না থাকে , তাহলে আপনার দুশ্চিন্তা আরও বেশি ভর করবে এটাই স্বাভাবিক। এক্ষেত্রে আপনি একা বসে না থেকে বন্ধু-বান্ধবদের সাথে সময় কাটান , আড্ডা দিন , ঘুরতে যান , মজা করুন , আপনার চিন্তা দূর হয়ে যাবে।
দুশ্চিন্তা দূর করার দোয়া
দুশ্চিন্তা থেকে মুক্তির ওষুধ সেবন করে কোন লাভ নেই । দুশ্চিন্তা থেকে মুক্ত হতে হলে অবশ্যই আল্লাহর নির্দেশনা অবলম্বন করতে হবে। এবং আল্লাহর কাছে দোয়া প্রার্থনা করতে হবে। একমাত্র আল্লাহ তায়ালাই পারেন আমাদের দুশ্চিন্তা মুক্ত করতে। সমস্ত সমস্যা গুলো সমাধান করে দিতে। দুশ্চিন্তা থেকে মুক্ত পেতে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কিছু দোয়া শিক্ষা দিয়েছেন যেগুলো আমরা নিয়মিত পাঠ করলে দুশ্চিন্তা থেকে মুক্তি পেতে পারবো।
আরো পড়ুনঃ গর্ভাবস্থায় একজন মায়ের করনীয় ও যত্ন
একজন মুমিন কখনো হতাশ কিংবা দুশ্চিন্তাগ্রস্থ হয় না। হাদিসে বেশ কিছু দোয়া শিক্ষা দেওয়া হয়েছেে এই দোয়া গুলো বেশি বেশি পড়ুন দেখবেন আপনার দুশ্চিন্তা ক্রমে ক্রমে দূর হয়ে যাবে ইনশাআল্লাহ।
এক হাদীসে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন আমি এমন একটা দোয়া সম্পর্কে অবগত করছি।কোন বিপদগ্রস্ত লোক পাঠ করলে আল্লাহ তাআলা তার সেই বিপদ দূর করে দেন সেটি হচ্ছে দোয়া ইউনুস আলাইহিস সালামের দোয়া
আরবি: لاَ إِلَهَ إِلاَّ أَنْتَ سُبْحَانَكَ إِنِّي كُنْتُ مِنَ الظّالِمِينَ
উচ্চারণ : লা ইলাহা ইল্লা আনতা সুবহানাকা ইন্নি কুনতু মিনাজ জ্বালিমিন।
অর্থ : হে আল্লাহ! তুমি ছাড়া কোনো সত্য উপাস্য নেই ,আমি তোমার পবিত্রতা বর্ণনা করছি। নিঃসন্দেহে আমি নিজের প্রতি অবিচার করেছি।
(তিরমিজি, হাদিস : ৩৫০৫)
রাসুল (সাঃ) চিন্তা ও পেরেশানির জন্য একটি বিষেশ দোয়াটি পড়তেন । দোয়া টি হলোঃ
আরবি: اللَّهُمَّ إِنِّي أَعُوذُ بِكَ مِنَ الْهَمِّ وَالْحَزَنِ، وَالْعَجْزِ وَ أَعُوذُ بِكَ مِنَ الْبُخْلِ وَالْجُبْنِ، وَ أَعُوذُ بِكَ مِنَ ضَلَعِ الدَّيْنِ، وَغَلَبَةِ الرِّجَالِ
উচ্চারণ : আল্লাহুম্মা ইন্নি আউজু বিকা মিনাল হাম্মি ওয়াল হুযনি, ওয়া আউজু বিকা মিনাল আজযি ওয়াল-কাসালি, ওয়া আউজু বিকা মিনাল বুখলি ওয়াল জুবনি, ওয়া আউজু বিকা মিন গালাবাতিদ দাইনি ওয়া কাহরির রিজাল।
অর্থ : হে আল্লাহ! নিশ্চয়ই আমি আপনার আশ্রয় নিচ্ছি দুশ্চিন্তা ও দুঃখ থেকে, অপারগতা ও অলসতা থেকে, কৃপণতা ও ভীরুতা থেকে, ঋণের ভার ও মানুষদের দমন-পীড়ন থেকে।
আনাস (রা.) বর্ণনা করেন, রাসুল (সাঃ) চিন্তাগ্রস্ত অবস্থায় এই দো’য়া পড়তেন।
( সহিহ বুখারি, হাদিস নং : ২৮৯৩)
আরবি: اللَّهُمَّ رَحْمَتَكَ أَرْجُو، فَلاَ تَكِلْنِي إِلَى نَفْسِي طَرْفَةَ عَيْنٍ، وَأَصْلِحْ لِي شَأْنِي كُلَّهُ، لاَ إِلَهَ إِلاَّ أَنْتَ
উচ্চারণ: আল্লা-হুম্মা রহ্মাতাকা আরজু ফালা তাকিলনী ইলা নাফসী ত্বারফাতা ‘আইন, ওয়া আসলিহ্ লী শা’নি কুল্লাহু, লা ইলা-হা ইল্লা আনতা)।
অর্থ: “হে আল্লাহ! আমি আপনার রহমতেরই আশা করি। তাই আপনি এক নিমেষের জন্যও আমাকে আমার নিজের কাছে সোপর্দ করবেন না। আপনি আমার সার্বিক বিষয়াদি সংশোধন করে দিন। আপনি ছাড়া কোনো হক্ব ইলাহ নেই।”
সুনানে আবূ দাউদ, ৪/৩২৪, নং ৫০৯০; আহমাদ ৫/৪২, নং ২০৪৩০।
শাইখ নাসির উদ্দিন আলবানী রহিমাহুল্লাহ সহীহ আবু দাউদ গ্রন্থে ৩/৯৫৯ এটাকে হাসান হাদীস বলেছেন।
আরবি: إِلَهَ إِلاَّ اللَّهُ الْعَظِيمُ الْحَلِيمُ، لاَ إِلَهَ إِلاَّ اللَّهُ رَبُّ الْعَرْشِ الْعَظِيمِ، لاَ إِلَهَ إِلاَّ اللَّهُ رَبُّ السَّمَوَاتِ وَرَبُّ الْأَرْضِ وَرَبُّ الْعَرْشِ الْكَرِيمِ
উচ্চারণ: লা ইলা-হা ইল্লাল্লা-হুল ‘আযীমূল হালীম। লা ইলা-হা ইল্লাল্লা-হু রব্বুল ‘আরশিল ‘আযীম। লা ইলাহা ইল্লাল্লা-হু রব্বুস সামা-ওয়া-তি ওয়া রব্বুল আরদ্বি ওয়া রব্বুল ‘আরশিল কারীম)।
অর্থ: “আল্লাহ ছাড়া কোনো হক্ব ইলাহ নেই, তিনি মহান ও সহিষ্ণু। আল্লাহ ছাড়া কোনো হক্ব ইলাহ নেই, তিনি মহান আরশের রব্ব। আল্লাহ ছাড়া কোনো হক্ব ইলাহ নেই, তিনি আসমানসমূহের রব্ব, যমীনের রব্ব এবং সম্মানিত ‘আরশের রব্ব।
(সহীহুল বুখারী, (ফাতহুল বারীসহ) ৭/১৫৪, নং ৬৩৪৫; সহীহ মুসলিম ৪/২০৯২, নং ২৭৩০
দুশ্চিন্তা দূর করার হাদিস
একজন মুমিনের প্রতিটি কাজের মধ্যে বিভিন্ন ধরনের দোয়া মিশ্রিত থাকবে এটাই স্বাভাবিক। আমরা যে কোন কাজ শুরু করার আগে আল্লাহ তায়ালার কাছে দোয়া চেয়ে নেই যেন আমরা কাজটি সুন্দরভাবে সফল হতে পারি। এছাড়া যে কোনো সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য আমরা আল্লাহ তায়ালার কাছেই প্রার্থনা করি সেই দোয়াগুলোর মাধ্যম দিয়ে য্রাব দোয়া গুলো রাসুল (সাঃ) আমাদেরকে শিক্ষা দিয়ে গিয়েছেন ।
এবং রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাদেরকে যে দোয়া শিক্ষা দিয়ে গিয়েছেন এবং যেগুলো করতে নির্দেশ দিয়েছেন সেগুলোই হাদিস । একজন মুসলিম হিসাবে আমাদের অবশ্যই কোরআন এবং হাদিস মেনে চলা আবশ্যক । সেক্ষেত্রে যারা অতিরিক্ত দুশ্চিন্তা করেন তাদের দুশ্চিন্তা থেকে মুক্তির জন্য রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের হাদিস সম্পর্কে জানতে হবে।
একটি হাদিসে বর্ণিত হয়েছে হযরত আবু সাইদ আল খুদরী রাদিয়াল্লাহু তা’আলা আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, একবার রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মসজিদে প্রবেশ করেন সেখানে আবু উমামাহ আনসারী নামক সাহাবীকে দেখতে পেলেন এবং তাকে বললেন, হে আবু উমামাহ কি ব্যাপার! আমি তোমাকে নামাজের ওয়াক্ত ছাড়া মসজিদে বসে থাকতে দেখেছি ? উত্তরে আবু উমামাহ বললেন, সীমাহীন দুশ্চিন্তা ও ঋণের বোঝার কারণে হে আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম।
রাসল (সা:) বললেন,আমি কি তোমাকে এমন কিছু বাক্য শিখিয়ে দেব না ? যেগুলো পাঠ করলে আল্লাহ তোমার দুশ্চিন্তা দূর করবে এবং তোমার ঋণ পরিষধের ব্যবস্থাও করে দিবেন ? জবাবে আবু উমামাহ রাদিয়াল্লাহু তা’আলা আনহু বললেন হ্যাঁ হে আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম । অতঃপর রাসূল (সঃ) বললেন তুমি সকাল সন্ধ্যা এই দোয়াটি পড়বে। আবু উমামাহ রাঃ বললেন, আমি তাই করলাম এবং আমার দুশ্চিন্তা আল্লাহ তায়ালা দূর করে দিলেন সাথে আমার ঋণ পরিশোধের ব্যবাস্থা করলেন।
(সুনানে আবু দাউদ,হদিস নং ১৫৫৫)
দোয়াটি এইঃ
আরবি: اللَّهُمَّ إِنِّي أَعُوذُ بِكَ مِنَ الْهَمِّ وَالْحَزَنِ، وَالْعَجْزِ وَ أَعُوذُ بِكَ مِنَ الْبُخْلِ وَالْجُبْنِ، وَ أَعُوذُ بِكَ مِنَ ضَلَعِ الدَّيْنِ، وَغَلَبَةِ الرِّجَالِ
উচ্চারণ : আল্লাহুম্মা ইন্নি আউজু বিকা মিনাল হাম্মি ওয়াল হুযনি, ওয়া আউজু বিকা মিনাল আজযি ওয়াল-কাসালি, ওয়া আউজু বিকা মিনাল বুখলি ওয়াল জুবনি, ওয়া আউজু বিকা মিন গালাবাতিদ দাইনি ওয়া কাহরির রিজাল।
অর্থ : হে আল্লাহ! নিশ্চয়ই আমি আপনার আশ্রয় নিচ্ছি দুশ্চিন্তা ও দুঃখ থেকে, অপারগতা ও অলসতা থেকে, কৃপণতা ও ভীরুতা থেকে, ঋণের ভার ও মানুষদের দমন-পীড়ন থেকে।
দুশ্চিন্তা দূর করার আমল
আমাদের এই ছোট্ট পৃথিবীতে দুশ্চিন্তা ছাড়া মানুষ নেই বললেই চলে। আমাদের সকলের মধ্যে কিছু না কিছু দুশ্চিন্তা আছেই। আমাদের মধ্যে কেউ কেউ পরিবার নিয়ে দুশ্চিন্তা করে থাকে, কেউ আবার নিজের ব্যবসা নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়ে থাকে, কেউ পড়াশুনা নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়ে থাকে , কেউ নিজের বেকারত্ব নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়ে থাকে , কেউ চাকরি-বাকরি নিয়ে টেনশনে পড়ে থাকে, এমন আরো নানান চিন্তাভাবনা নিয়ে মানুষ দুশ্চিন্তায় পড়ে থাকে । এক কথায় বলতে গেলে আমাদের দুশ্চিন্তার কোন অভাব নেই , কিন্তু আমরা দুশ্চিন্তা দূর করার আমল সম্পর্কে অবগত না। এটাই আমাদের মূল সমস্যা দুশ্চিন্তা করেই যাবো কিন্তু দুশ্চিন্তা দূর করার আমল করতে রাজি না । আপনার গোড়ামি থেকে বের হয়ে আসুন দুশ্চিন্তা দূর করার আমল সম্পর্কে জানুন সুস্থ থাকুন।
আরো পড়ুনঃ টেনশনের শারিরিক লক্ষন
১। আমরা ওপরে যে দোয়াটি উল্লেখ করেছি আপনাকে সকাল সন্ধ্যা নিয়ম মেনে এই দোয়াটি পড়তে হবে। কারণ আমাদের প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এই দোয়াটি শিখিয়ে দিয়েছেন। এ দোয়া পড়লে আল্লাহ তা’আলা আমাদের সকল দুশ্চিন্তা দূর করবেন এবং আমাদের ঋণ পরিশোধের ব্যবস্থাও করে দেবেন।
২। আমাদের তকদিরের উপরে বিশ্বাস রাখতে হবে। ভালো-মন্দ যেটাই হোক না কেন আপনি যদি তকদিরের উপরে আস্থা রাখেন তবে দুশ্চিন্তা কখনোই আপনার ওপরে ভর করবে না। এবং আল্লাহ তা’আলা আপনার উপরে খুশি থাকবেন ।
৩। খুব গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল দুশ্চিন্তায় পড়লে আমরা পরকালের কথা ভুলে যাই , আল্লাহর উপরে দোষারোপ করি। এই ভুলটা কখনোই করা যাবে না। কারণ ইহকালের দুশ্চিন্তা কোন না কোন সময় শেষ হয়ে যাবে । কিন্তু পরকালের দুশ্চিন্তা কখনোই শেষ হবে না যদি আপনি মুমিন না হয়ে থাকেন । সুতরাং সর্ব অবস্থায় আল্লাহর শুকরিয়া আদায় করতে হবে এবং তকদিরের ওপর বিশ্বাস রাখতে হবে।
৪। ধৈর্য ধারণ করতে হবে , আপনি যদি আপনার জীবনে সুখী হতে চান এবং আল্লাহ তায়ালার সাহায্য পেতে চান তাহলে অবশ্যই আপনাকে বিপদে ধৈর্য ধারণ করতে হবে । কেননা আল্লাহ তায়ালা ধৈর্য ধারণকারীদের সাথে আছেন, পছন্দ করেন, ভালোবাসেন, এবং উত্তম প্রতিদান দান করেন।
৫। দুশ্চিন্তা থেকে মুক্ত হওয়ার জন্য আপনাকে বেশি বেশি ইস্তেগফার পাঠ করতে হবে । বেশি বেশি আল্লাহর কাছে ক্ষমা চাইতে হবে এবং নিজের জন্য দোয়া করতে হবে। কেননা আল্লাহ মহাক্ষমাশীল। নিয়মিত ইস্তেগফার পাঠ করলে যুদ্ধের ময়দান থেকে পালিয়ে আসা ব্যক্তির কোনো ক্ষমা নেই এমন ব্যক্তিও ক্ষমা পেয়েছেন। আল্লাহ তায়ালা আপনাকে ক্ষমা করলে সকল বিপদ এবং দুশ্চিন্তা থেকে আপনি মুক্ত থাকবেন।
আরো পড়ুনঃ রুট ক্যানেল করতে ব্যথা
লেখকের শেষ মন্তব্য
প্রিয় বন্ধুগণ আজকের এই আর্টিকেলে ডিপ্রেশন দূর করার উপায়,দুশ্চিন্ত দূর করার দোয়া, দুশ্চিন্ত থেকে মুক্তির হাদিস,দুশ্চিন্তা দূর করার আমল সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে যেহেতু এই বিষয়গুলো গুরুত্বপূর্ণ এবং আমাদের একজন মুসলিম হিসেবে জেনে রাখা আবশ্যক। তাই অবশ্যই মনোযোগ সহকারে আর্টিকেলটি আগে পড়ে নিতে হবে।
এতক্ষণ আমাদের সঙ্গে থাকার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ। এ ধরনের গুরুত্বপূর্ণ এবং তথ্যমূলক আর্টিকেল নিয়মিত পেতে আমাদের পেজটি ভিজিট করুন , বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন। কারণ আমরা আমাদের ওয়েবসাইটে নিয়মিত এ ধরনের আর্টিকেল প্রকাশ করে থাকি। ধন্যবাদ