আপনার কম্পিউটার কি খুব স্লো ? কম্পিউটার বিদ্যুৎএর মত ফাষ্ট করতে সেটিংস গুলো জেনে নিন

কম্পিউটার স্লো হয়ে গেছে ? কিভাবে পিসি ফাস্ট করব ? এমন প্রশ্ন আমরা প্রায়ই শুনে থাকি। আপনার পিসি স্লো হওয়ার শীর্ষ কিছু কারণ এই পোস্ট এ তুলে ধরা হল। এটা কোন ব্যাপার না যে আপনি আপনার পিসি কি কাজের জন্য ব্যবহার করছেন। আপনার কাছে যেটা ব্যাপার সেটা হল আপনি যেই কাজের জন্য ব্যবহার করছেন সেটা যেন সময় মতো হয়।

কিন্তু আপনার অতি জরুরি কাজটি যদি আপনার পিসি  কচ্ছপের মতো করে দেয় তাহলে তার থেকে বিরক্তিকর কিছু নেই। আসলেই এই সমস্যাটির ভুক্তভোগীর সংখ্যা যদি গণনা করা হয় তাহলে দেখা যাবে যে প্রত্যেকটি কম্পিউটার ব্যবহারকারীর কাছে এটি প্রধান সমস্যা। আপনি যদি এরকমই ভুক্তভোগী হয়ে থাকেন তবে আপনার জন্য সুখবর আছে। সুখবরটি হল আপনি চাইলে আপনার পিসি স্লো হওয়ার কারণ খুঁজে বের করে এই সমস্যার সমাধান করতে পারবেন।

ডিফ্লাগিং করা

আপনি আপনার কম্পিউটার শেষ কবে ডিফ্লাগ করেছিলেন? এটা হল অন্যতম এক মাধ্যম আপনার পিসির গতি বাড়ানোর। যদিও বা নতুন অপারেটিং সিস্টেমগুলো প্রায়ই ডিফ্লাগিং করে থাকে। তবুও এই কাজ আপনি খুব সহজেই আপনার পিসির কন্ট্রোল প্যানেল থেকে করতে পারবেন। এই ডিফ্লাগিং আপনার ফাইল গুলো আরও সমৃদ্ধ করে ও মেমরি স্পেস ফ্রি করে যাতে আপনার কম্পিউটার দক্ষতার সাথে দ্রুত গতিতে চলতে পারে।

মেমোরি বৃদ্ধি

আপনার পিসির র‍্যামের পরিমাণ চেক করুন। যদি সেটি পরিমাণে কম দেখতে পান তাহলে অতিরিক্ত র‍্যাম ইন্সটল করে নিন। কিছু পিসিতে কম্পিউটারের প্রয়োজনীয় র‍্যামের তুলনায় কম র‍্যাম থাকে। বেশির ভাগ ব্যবহারকারীরা এটি বুঝতে পারে যখন তারা সেই কম্পিউটার ব্যবহার করে ভারি কাজ করতে থাকে। যারা পিসি খুব কম ব্যবহার করে তারা কখনই ব্যামের এই পরিবর্তনটা লক্ষ করে না। অতিরিক্ত র‍্যাম ব্যবহারের পর আপনি আপনার পিসির কার্যক্ষমতা দেখে অবাক হবেন।

সাধারণত আপনি যদি ২ জিবি র্যাম ব্যবহার করে ৬৪ বিট অপারেটিং সিস্টেম ইনস্টল করেন তাহলে আপনার পিসি খুবই স্লো কাজ করবে। কারণ ৬৪ বিট অপারেটিং সিস্টেমের রিকোয়‍্যারমেন্টই হল নূন্যতম ২ জিবি র‍্যাম। সেখানে যদি টোটাল র‍্যামই ২ জিবি হয়। তাহলে তো পিসি অন অফ করা ছাড়া আর তেমন কোন ভারি কাজই করতে পারবেন না। তবে আপনি যে কাজের জন্যই পিসি ব্যবহার করেন না কেন, এই যুগের আপনার নূন্যতম ৮ জিবি র‍্যাম অবশ্যই প্রয়োজন।।

ব্রাউজারের টুলবার

আপনি যদি আপনার পিসিতে সব সময় নেট ব্রাউজ করেন এবং সব সময়ই কিছু না কিছু ডাউনলোড করেন তবে সময়ের সাথে সাথে ব্রাউজার স্বয়ংক্রিয় ভাবে ভিন্ন রকমের টুলবার ইন্সটল বা ডাউনলোড করে। যদি পারেন তাহলে সে সকল টুলগুলো ডিলেট করে দিন। যদি আপনি তাদের ব্যবহার না করে থাকেন তাহলে সেগুলো রাখার কোন মানে হয় না। তাই যত দ্রুত সম্ভব সেগুলো অপসারণ করে দিন।

অনেক সময় এমনটা হয় যে আপনার পিসি স্লো হয় নি। বরং আপনার পিসির ইন্টারনেট কানেকশন এ থাকা ব্রাউজার এড অন সমূহ আপনার ইন্টারনেট ব্রাউজিং স্লো করে দেয়। এতে আপনার ইন্টারনেট ব্রাউজ করার গতি ক্রমশ কমতে থাকে। আর আপনি মনে করেন যে আপনার পিসি স্লো। সে কারণেই আপনি যত দ্রুত সম্ভব অতিরিক্ত টুল যেগুলো আপনার প্রয়োজন হয় না সেগুলো অপসারণ করে দিন।

এগুলো ছাড়াও পিসি স্পিড বাড়ানোর টিপস

  • আপনার হার্ডডিস্ক এর স্পেস চেক করুন। অপ্রয়োজনীয় প্রোগ্রাম ডিলিট করে দিন।
  • কম্পিউটার ভাইরাস, স্পাইওয়ার আপনার পিসিতে আছে কিনা চেক করুন। যদি আপনার কম্পিউটারে ভালো কোন এন্টিভাইরাস দেওয়া না
  • থাকে তবে এন্টিভাইরাস দিন। এন্টিভাইরাস দ্রুত গতিতে স্ক্যান করে সেগুলো সনাক্ত করে। তারপর সেটা ডিলেট করে কম্পিউটারের গতি। বাড়ায়।
  • অনেক দিন ধরে যদি রান প্রোমোট থেকে রিসেন্ট ও টেম্প ফাইল ডিলেট করা না হয় তবে পিসি স্লো করে। তাই রান প্রোমোট থেকে রিসেন্ট ও টেম্প ফাইল ডিলেট করে দিন।
  • একটি ধীরগতি সম্পন্ন পিসি মানে এই না যে আপনাকে নতুন পিসি কিনতে হবে এই পিসি কাজ করবে না। স্লো পিসি হল একটি লক্ষণ যে আপনার পিসি আপগ্রেট করার সময় এসেছে।

ল্যাপটপের জন্য প্রয়োজনীয় সফটওয়্যার 

ল্যাপটপ ভালো রাখার টিপস সম্পর্কে আশা করি জানতে পেরেছেন। তথ্যবহুল ও গুরুত্বপূর্ণ আর্টিকেলটির এই অংশে ল্যাপটপের জন্য প্রয়োজনীয় সফটওয়্যার সমূহের নাম উল্লেখ করা হবে। তো আসুন দেখে নেয়া যাক,  ল্যাপটপের জন্য প্রয়োজনীয় সফটওয়্যার সমূহের নাম।
  • অপারেটিং সিস্টেম (যেমন: Windows, macOS, Linux)
  • ওয়েব ব্রাউজার (যেমন: Google Chrome, Mozilla Firefox)
  • অফিস স্যুট (যেমন: Microsoft Office, LibreOffice)
  • অ্যান্টিভাইরাস সফটওয়্যার
  • PDF রিডার (যেমন: Adobe Acrobat Reader)
  • মিডিয়া প্লেয়ার (যেমন: ভিএলসি মিডিয়া প্লেয়ার)
  • ক্লাউড স্টোরেজ (যেমন: ড্রপবক্স, গুগল ড্রাইভ)
  • ইমেল ক্লায়েন্ট (যেমন: Microsoft Outlook, Mozilla Thunderbird)
  • ইমেজ এডিটিং সফটওয়্যার (যেমন: Adobe Photoshop, GIMP)
  • ভিডিও এডিটিং সফটওয়্যার (যেমন: Adobe Premiere Pro, iMovie)
  • নোট-টেকিং অ্যাপ (যেমন: Microsoft OneNote, Evernote)
  • মেসেজিং অ্যাপ (যেমন: স্কাইপ, হোয়াটসঅ্যাপ)
  • কম্প্রেশন/আর্কাইভিং টুল (যেমন: 7-জিপ, WinRAR)
  • পাসওয়ার্ড ম্যানেজার (যেমন: LastPass, 1Password)
  • ব্যাকআপ সফ্টওয়্যার (যেমন: অ্যাক্রোনিস ট্রু ইমেজ, টাইম মেশিন)
  • টেক্সট এডিটর (যেমন: নোটপ্যাড, ভিজ্যুয়াল স্টুডিও কোড)
  • সিস্টেম রক্ষণাবেক্ষণ সরঞ্জাম (যেমন: CCleaner, ডিস্ক ক্লিনআপ)
  • ভার্চুয়াল প্রাইভেট নেটওয়ার্ক (ভিপিএন) সফটওয়্যার
  • ফাইল ট্রান্সফার/এফটিপি ক্লায়েন্ট (যেমন: FileZilla, WinSCP)
  • অডিও রেকর্ডিং এবং এডিটিং সফ্টওয়্যার (যেমন: অডাসিটি, অ্যাডোব অডিশন)

শেষ কথা 

প্রিয় বন্ধুগণ এতক্ষণ যাবৎ আপনারা কম্পিউটার স্লো হলে কিভাবে বিদ্যুতের মতো ফাস্ট করতে হয় এই সেটিং সম্পর্কে বিস্তারিত জেনেছেন। যদি আপনার আর্টিকেলটি ভালো লেগে থাকে তবে অবশ্যই আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করবেন এবং নিয়মিত তথ্যমূলক পোস্ট পেতে পেজটি ভিজিট করবেন এতক্ষণ আমাদের সাথে থাকার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ

Leave a Comment