কক্সবাজার, বিশ্বের দীর্ঘতম সমুদ্রসৈকতের জন্য বিখ্যাত, একইসঙ্গে এটি স্বাদে ও বৈচিত্র্যে ভরা খাবারের জন্যও পরিচিত। সমুদ্রঘেঁষা এই অঞ্চলের খাবারগুলোর স্বাদ ও সুগন্ধ পর্যটকদের আকৃষ্ট করে। নিচে কক্সবাজারের সেরা ৫টি খাবার এবং তাদের গুণাগুণ উল্লেখ করা হলো:
১. চিংড়ি মালাইকারি
বিশেষত্ব:
কক্সবাজারের তাজা চিংড়ি দিয়ে তৈরি এই মালাইকারি সুগন্ধি নারকেল দুধ, ঘি এবং মশলার সংমিশ্রণে তৈরি। এটি উপকূলীয় অঞ্চলের একটি বিখ্যাত খাবার।
গুণাগুণ:
- প্রোটিন সমৃদ্ধ এবং ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিডের ভালো উৎস।
- নারকেল দুধে থাকা ফ্যাট সহজে হজম হয়।
- স্বাস্থ্যকর চর্বি শরীরের জন্য উপকারী।
২. কক্সবাজারের শুকনা মাছের ভর্তা
বিশেষত্ব:
কক্সবাজারের শুকনা মাছ বা শুটকি দেশের অন্যান্য অঞ্চলের তুলনায় আলাদা এবং সুগন্ধি। এটি বিভিন্ন মসলা ও সরিষার তেলের সঙ্গে মিশিয়ে ভর্তা বানানো হয়।
গুণাগুণ:
- প্রোটিন এবং ক্যালসিয়ামের ভালো উৎস।
- শুটকি মাছ হাড়ের গঠনে সহায়ক।
- মসলা হজমে সাহায্য করে।
৩. ইলিশ ভাপা
বিশেষত্ব:
তাজা ইলিশ মাছ দিয়ে সরিষা বাটা, সরিষার তেল, এবং নারকেল দিয়ে তৈরি করা হয় ইলিশ ভাপা। কক্সবাজারে এটি একটি অত্যন্ত জনপ্রিয় খাবার।
গুণাগুণ:
- ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড এবং প্রোটিনের উৎস।
- হৃৎপিণ্ডের জন্য উপকারী।
- মশলা কম ব্যবহার হওয়ায় সহজপাচ্য।
৪. সী-ফুড গ্রিল
বিশেষত্ব:
কক্সবাজারের তাজা সামুদ্রিক খাবার (লবস্টার, অক্টোপাস, কাঁকড়া) দিয়ে তৈরি গ্রিলড ডিশ অত্যন্ত সুস্বাদু। এতে সামুদ্রিক লবণের স্বাদ থাকে।
গুণাগুণ:
- ফসফরাস এবং প্রোটিন সমৃদ্ধ।
- লো-ফ্যাট হওয়ায় স্বাস্থ্যকর।
- শরীরের শক্তি বৃদ্ধিতে সহায়ক।
৫. নারকেলের নাড়ু ও পিঠা
বিশেষত্ব:
কক্সবাজারে নারকেল দিয়ে তৈরি বিভিন্ন মিষ্টি খাবার, বিশেষ করে নাড়ু এবং স্থানীয় পিঠা অত্যন্ত জনপ্রিয়।
গুণাগুণ:
- নারকেলের মধ্যে থাকা ভালো চর্বি শক্তি যোগায়।
- কার্বোহাইড্রেট এবং প্রাকৃতিক চিনি হজমে সহায়ক।
- স্বাস্থ্যের জন্য নিরাপদ মিষ্টি।
উপসংহার
কক্সবাজারে ভ্রমণের সময় এসব খাবার চেখে দেখলে সমুদ্রের সৌন্দর্য যেমন উপভোগ্য হয়, তেমনি স্বাদ ও পুষ্টির আনন্দও উপভোগ করা যায়। এ অঞ্চলের খাবারগুলোতে স্থানীয় তাজা উপকরণ এবং সংস্কৃতির বিশেষ ছোঁয়া পাওয়া যায়।