কুমিল্লা বাংলাদেশের ঐতিহ্যবাহী শহরগুলোর মধ্যে একটি, যা তার সমৃদ্ধ সংস্কৃতি ও বিশেষ খাবারের জন্য বিখ্যাত। এখানে কুমিল্লার সেরা ৫টি জনপ্রিয় খাবার এবং তাদের গুণাগুণ তুলে ধরা হলো:
১. মতিচূর লাড্ডু
বিশেষত্ব:
কুমিল্লার মতিচূর লাড্ডু দেশের অন্যতম সেরা মিষ্টি। এটি ক্ষুদ্র বুন্দি দিয়ে তৈরি হয় এবং বিশেষ সুগন্ধি ও স্বাদযুক্ত।
গুণাগুণ:
- উচ্চ ক্যালরি এবং শক্তি সরবরাহ করে।
- দুধ, চিনি ও ঘি থেকে তৈরি হওয়ায় এটি পুষ্টিগুণে সমৃদ্ধ।
- উৎসব ও অতিথি আপ্যায়নে অপরিহার্য।
২. রসমালাই
বিশেষত্ব:
কুমিল্লার রসমালাই বাংলাদেশের সেরা মিষ্টিগুলোর মধ্যে একটি। এর সফট পনির এবং ঘন মিষ্টি দুধের সংমিশ্রণ একে অনন্য করে তোলে।
গুণাগুণ:
- ক্যালসিয়াম ও প্রোটিন সমৃদ্ধ।
- হজমশক্তি বাড়ায়।
- মিষ্টি হলেও তুলনামূলকভাবে কম চর্বিযুক্ত।
৩. কুমিল্লার খিচুড়ি ও মাংস
বিশেষত্ব:
কুমিল্লার খিচুড়ি একদম মোলায়েম এবং সুগন্ধি হয়। এর সঙ্গে মাংস (বিশেষত গরু বা মুরগির) যোগ করলে স্বাদ অসাধারণ হয়।
গুণাগুণ:
- কার্বোহাইড্রেট এবং প্রোটিনের চমৎকার উৎস।
- সহজপাচ্য এবং শরীর গরম রাখতে সহায়ক।
- সকালের বা রাতের খাবারের জন্য আদর্শ।
৪. তেহারি
বিশেষত্ব:
কুমিল্লার তেহারি সুগন্ধি চাল, গরুর মাংস, এবং বিশেষ মসলার সংমিশ্রণে তৈরি। এটি একটি ঐতিহ্যবাহী খাবার।
গুণাগুণ:
- কার্বোহাইড্রেট, প্রোটিন, এবং ফ্যাটের ভালো উৎস।
- মসলার জন্য হজম শক্তি বাড়ায়।
- উৎসব বা পারিবারিক অনুষ্ঠানের জন্য প্রিয়।
৫. কালাই রুটি ও ভর্তা
বিশেষত্ব:
কালাই রুটি হলো একটি জনপ্রিয় স্থানীয় খাবার যা কালাইয়ের ডাল দিয়ে তৈরি হয় এবং এটি সরিষার তেল ও বিভিন্ন ভর্তার সঙ্গে পরিবেশিত হয়।
গুণাগুণ:
- আঁশযুক্ত হওয়ায় হজমে সহায়ক।
- ডাল থেকে প্রোটিন পাওয়া যায়।
- লাঞ্চ বা ডিনারের জন্য স্বাস্থ্যকর খাবার।
উপসংহার
কুমিল্লার খাবার কেবলমাত্র স্বাদে অনন্য নয়, এগুলো পুষ্টিগুণেও সমৃদ্ধ। কুমিল্লা ভ্রমণে গেলে এই খাবারগুলো অবশ্যই চেখে দেখতে ভুলবেন না!